স্মৃতিকথা

মাহমুদউল্লাহ

0
28

আজকে দাদা স্মৃতিকথার ঝুলি দিলেন খুলে,
হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে যাননি তিনি ভুলে।
রোদসীকে বলেন তিনি, পড়ছে আমার মনে,
বাইরে ঝাঁ ঝাঁ রোদের দাপট আমরা যেতাম বনে।
খেয়েছি আম-জাম-জামরুল বনবাদাড়ে ঘুরে,
নানা পাখি সেখানে গান গাইত নানা সুরে।
খাঁ খাঁ রোদে মাঠ আমাদের হতো নিঝুমপুরী,
সেই না মাঠে বেশ ওড়াতাম নিজের তৈরি ঘুড়ি।

এই এতক্ষণ শুনল রোদু দাদার স্মৃতিকথা,
তারপরে সে বলল কথা ভেঙে নীরবতা।
তখন কেবল টুতে পড়ি ছোট ছিলাম খুব,
মায়ের মোবাইল সরিয়ে নিয়ে দেখতাম ইউটুব।
একদিন আমি মায়ের কাছে পড়ে গেলাম ধরা,
মা বলে দেন, মনে রেখো আগে তোমার পড়া।
কিছুক্ষণের জন্য মা দেন মোবাইল আমার হাতে,
লেখাপড়ার ক্ষতি না হয় দেখেন সাথে সাথে।

দাদা বলেন, মটর-বাদাম খেয়েছিলাম হাটে,
ছেলেবেলার কথা ভেবে সময় আমার কাটে।
রোদুমণি একটি কথা বলল বুড়ির মতো,
তখন আরো ছোট ছিলাম ফুচকা খেতাম কত!
দাদার সাথে রোদসীও করে স্মৃতিচারণ,
ওসব কথা বলতে তাকে কেউ করে না বারণ।
দাদার যেমন স্মৃতি আছে তেতো এবং মধুর,
ঠিক তেমনই স্মৃতি আছে মিষ্টি মেয়ে রোদুর।