সম্পাদকীয় জানুয়ারী ২০২০

0
25

প্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। ভালো আছো নিশ্চয়ই। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই হৃদয়ে হৃদয়ে এক সকরুণ সুর বেজে ওঠে।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি!’
আমাদের খুব বড় দুটো অর্জনের একটি হচ্ছে ভাষার জন্য সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় বাংলার প্রতিষ্ঠা। ভাষায় জন্য সারা পৃথিবীতে এরকম আত্মত্যাগের নজির নেই বলে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। সারা পৃথিবীর মানুষ দিনটিকে স্মরণ করছে একযোগে আর সম্মান জানাচ্ছে আমাদের ভাষাশহীদদের। ভাষাশহীদেরা রক্ত দিয়ে দেশের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বময়। মাতৃভাষা, ভাষা আন্দোলন এবং ভাষাশহীদদের নিয়ে বাংলা ভাষায় লেখা হয়েছে অজ¯্র্র ছড়া কবিতা গান। তার দু’একটা তোমরাও জানো নিশ্চয়ই।
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায়
বরকতের রক্ত
কিংবা
কৃষ্ণচূড়ার পাতার ফাঁকে
ফুল ফুটেছে রক্তবরণ
ফেব্রুয়ারির শহীদ ভাইয়ের
নামগুলোকে করছি স্মরণ।
এই দুটো ছড়াই লিখেছেন বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কবি আল মাহমুদ। আমাদের মাহমুদ ভাই। আমাদের মাহমুদ ভাই বলছি এ কারণে, ফুলকুঁড়ি আসরের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উনি ছিলেন কেন্দ্রীয় আসরের শিক্ষা-সাহিত্য উপদেষ্টা। আমৃত্যু তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এই মাসের ১৫ তারিখে মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে গেল বছর তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কবির মৃত্যু বাংলা সাহিত্যে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। খালি করে দিয়ে গেছে তোমার আমার মতো অসংখ্য ফুলকুঁড়ির অজ¯্র ফুলের অন্তর।
‘আমার মায়ের সোনার নোলক
হারিয়ে গেল শেষে
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি
সারা বাংলাদেশে।’
এরকম কালজয়ী লেখনী আর আসবে না কবির কলম থেকে, তবে যতটুকু লেখনী তিনি দিয়ে গেছেন তার আদরের ফুলকুঁড়িদের জন্য, ফুলকুঁড়িরা যেন সেসব মণিমুক্তা যতন করে রাখে তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায়। আজ এ পর্যন্তই। আল্ল­াহ হাফেজ।