সম্পাদকের চিঠি । মে’২০২৫

0
9

প্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। ভালো আছো আশা করি। আজ তোমাদের একটি ছোট্ট ছেলের গল্প বলবো। ছেলেটির নাম আহমাদ আবু আল রৌছ। বয়স ১২। ছেলেটি প্রতিবন্ধী। হুইলচেয়ারই চলাফেরার জন্য তার ভরসা। হলে কী হবে, অত্যন্ত প্রাণবন্ত আর হাসিখুশি এই ছেলেটি আর সব ছেলের মতনই জীবনকে নিয়ে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখেছিলো। স্বপ্ন দেখেছিল একটি স্বাধীন আবাসভূমির। স্বপ্ন দেখেছিল পাখির মতন ডানা মেলে মুক্ত আকাশে উড়ে উড়ে বেঁচে থাকার। প্রথমে ইজরাইলি হানাদার বাহিনী বোমা মেরে তার ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেয়। তার আশ্রয় হয় খান ইউনিস উদ্বাস্তু শিবিরে। এখানে এসেও ভুবন ভোলানো হাসি আর নিষ্পাপ আচরণ দিয়ে সে জয় করে নিয়েছিলো সবার মন। এক রাতে ইসরাইলি বর্বর জঙ্গিগোষ্ঠী উদ্বাস্তু শিবিরেও নিক্ষেপ করে মিসাইল। মুহূর্তে আগুন ধরে যায় চারপাশে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারলেও হুইল চেয়ার চালিয়ে সরে পড়তে পারেনি আহমাদ।
জলন্ত আগুনে ধীরে ধীরে কয়লা হয়ে যায় তার সমস্ত শরীর। আহমাদের মতন এরকম অসংখ্য শিশু প্রতিনিয়ত প্রাণ দিচ্ছে ফিলিস্তিনে। এটি যুদ্ধ নয়, এটি একটি বর্বর গণহত্যা, যার সাথে জড়িত মানবতার ফেরিওয়ালা ইউরোপ এবং আমেরিকা।

মজলুম ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি রাখতে এবং ইসরাইল ও আমেরিকার নৃশংসতার বিরুদ্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশেও হয়েছে বড় ধরনের গণজমায়েত। ফিলিস্তিনে মানবতা আজ চরমভাবে ভুলুণ্ঠিত। বিবেকবান বিশ্ব আজ মনমরা। গুটিকয়েক জঘন্য এবং বর্বর মানুষ পৃথিবীর সব মানুষের মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারে না। এ অবস্থায় মুসলিমবিশ্বসহ সবাইকে এক হতে হবে। প্রতিহত করতে হবে দানব ইসরাইল এবং একচোখা দাজ্জাল আমেরিকাকে।

পৃথিবীর শিশুরা বেড়ে উঠুক নিরাপদে। যুদ্ধবাজরা কোণঠাসা হোক। শান্তির পায়রা উড়ুক দিকে দিকে- সেই প্রত্যাশা করে আজকের চিঠি এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।