করোনা যুদ্ধে সফল যারা

আবরার হক

0
59

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। প্রতিবারে বলি যে, আশা করি তোমরা ভালো আছো। অত্যন্ত কষ্টকর বিষয় হচ্ছে এই আশাটা এবারে চাইলেও করতে পারছি না। কারণ সমগ্র পৃথিবীর মানুষ আমরা কেউই আজ আসলে ভালো নেই। অতি ক্ষুদ্রকায় ভাইরাস নভেল করোনার হাতে উত্তর-আধুনিক এই বিশ্ব একেবারেই নাজেহাল অবস্থায় পতিত হয়েছে। এই অবস্থাতেও কিছু দেশ করোনাভাইরাসের অদৃশ্য ভয়াল হামলা থেকে নিজেদের যথাসম্ভব বাঁচিয়ে রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আজ আমরা তেমন কয়েকটি দেশ সম্পর্কে জানবো।
দক্ষিণ কোরিয়া এমনই একটি দেশ। চীনের পরে যে দেশে সবচেয়ে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছিল, তা হলো দক্ষিণ কোরিয়া। ২০ জানুয়ারি তারিখে প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করা হয়। আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল ৩০ জন এবং এই সময় পর্যন্ত কেউই এ ভাইরাসের কারণে মারা যায়নি। ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশটি ৩১তম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করে এবং বিপত্তিটা তখনই শুরু হয়।
এই ৩১তম রোগী ছিলেন একজন মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলা। এই রোগীকে পরিচয় দেয়া হয় ‘প্যাশেন্ট-৩১’ নামে। ১৮ ফেব্রুয়ারি টেস্ট করার আগের দিন পর্যন্ত উনি রাজধানী সিউল এবং দায়েগো শহরের লোকে লোকারণ্য জায়গাগুলোতে যান, ছোট অ্যাক্সিডেন্টের কারণে হাসপাতালেও ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই শরীরে জ্বর অনুভূত হওয়া সত্ত্বেও উনি ২ বার চার্চে যান, এক বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে যান। এই সময়ের পুরোটাজুড়ে যারাই তার সংস্পর্শে এসেছে, নিজের অজান্তেই উনি করোনাভাইরাস তাদের মাঝে ছড়িয়েছেন। এর ফলে ১৮ ফেব্রুয়ারির পরে ১০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩০০ এর উপরে এবং এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন ১৬ জন ।
এইভাবে অবিশ্বাস্য গতিতে করোনাভাইরাস ছড়ানো শুরু করলেও, সেদেশের সরকারের যুগান্তকারী আর সাহসী সিদ্ধান্ত এই ছড়ানোর গতিকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়। দায়েগো শহরকে জরুরিভাবে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করা হয়। দেশে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে। প্যাশেন্ট-৩১ যে চার্চে গিয়েছিলেন, সে চার্চের দেড় শতাধিক মানুষের করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়ার পর সে চার্চের সাথে সম্পর্কিত ৯ হাজার জন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান। এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দেশটি। বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে গড়ে তোলে ছোট ছোট বায়োটেক প্রতিষ্ঠান, যেখানে তৈরি হয় করোনা শনাক্তকরণ কিট। প্রায় ৫ কোটি মানুষের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার করে সবমিলিয়ে সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ১৫০ জনের বিপরীতে ১ জনকে টেস্ট করা হয়।
এছাড়া প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতাকে বেশ দক্ষতার সাথে কাজে লাগায় দেশটি। দেশের সকল নাগরিক এবং বসবাসরত বিদেশী নাগরিকদের তথ্য থাকে সরকারি তথ্যভা-ারে। প্রতিটি সরকারি সংস্থা, হাসপাতাল পরিসেবা, আর্থিক সেবা সংস্থা, মোবাইল ফোন অপারেটরসহ সব ধরনের সেবা প্রদানকারীদের সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত এই তথ্যভা-ার। যখনই কোনো করোনা পজেটিভ পাওয়া যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তির ভ্রমণ ডিটেইলস, তার বিগত কিছু দিনের কর্মকা-Ñ কোন কোন রুটে তিনি যাতায়ত করেছেন সেই ম্যাপসহ কাছাকাছি এলাকার সব মোবাইল গ্রাহক নোটিফিকেশনে পেয়ে যাচ্ছেন। এসব নোটিফিকেশন মোবাইলের সিস্টেম পুশ হিসেবে আসছে। আর যখন নোটিফিকেশন আসে তখন মোবাইলের কলসহ অন্য কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া ড্রাইভিং-থ্রো ল্যাব হিসেবে পরিচিত এমনভাবে করোনা শনাক্তের অস্থায়ী ল্যাব তৈরি করা হয়, যে ল্যাবে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যায়। গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে কয়েক মিনিটের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যায়। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে নোটিফিকেশন আসে, আশেপাশে কোথায় ড্রাইভিং-থ্রো ল্যাব আছে। এভাবে মার্চের ১০ তারিখের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া পরিস্থিতিকে একটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থানে নিয়ে আসে। এই ফিচার লেখার সময় পর্যন্ত তাদের আক্রান্তের পরিমাণ মোট ৯৭৮৬, আর মৃত্যু ১৬৫ জন।
করোনাভাইরাসের আক্রমণে সারা বিশ্ব যখন দিশেহারা, বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগের মাধ্যমে সিউল সরকার তখন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে স্কুল খুলে দেয়ার কথা ভাবছে।
করোনাভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের পারঙ্গমতা দেখিয়েছে এশিয়ান টাইগার খ্যাত সিঙ্গাপুর। তোমরা তো জানো, সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মানুষ ব্যবসায়িক কারণে এবং ঘুরতে যায়। এ দিক বিবেচনা করলে এ দেশটি শুরু থেকেই খুব রিস্কে ছিল। কিন্তু সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই সমস্যাকে সিরিয়াসলি নিয়ে একে মারাত্মক পর্যায়ে যাবার আগেই আটকে দেয়।
সিঙ্গাপুর প্রথম দিকে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া দেশগুলোর একটি, যাতে ২৩ জানুয়ারি প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। তবে তার আগেই দিনই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মাল্টি-মিনিস্ট্রিয়াল কমিটি গঠন করা হয়। ২ জানুয়ারি থেকে সিঙ্গাপুরে উহান থেকে আসা সকলের এবং ২০ জানুয়ারি থেকে চীন থেকে আসা সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়। ধাপে ধাপে বাইরে থেকে আসা সকলকেই এই টেস্টের আওতায় আনা হয়। এখান থেকে যাদের মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা যেত, তাদের সবাইকে ১৪ দিনের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেয়া হতো।

এর বাইরে সিঙ্গাপুরও রীতিমতো গণহারে টেস্ট করা শুরু করে। দেখা যায় প্রতি শনাক্ত হওয়া রোগীর বিপরীতে প্রায় ১০০ জনকে টেস্ট করা হয়েছে। যাদের টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে, তাদের সাথে সাথে আলাদা করে ফেলা হয়। কোনো এক গ্রুপের একজন বা কোনো বাসার একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সে পরিবার বা গ্রুপের সবাইকে আলাদাভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়, যাতে করোনাভাইরাস ছড়াতে না পারে। এরপর তাদের সাথে দীর্ঘসময় স্বাস্থ্যকর্মীরা কথা বলে সাম্প্রতিক সময়ে যাদের সংস্পর্শে গেছেন, সবাইকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ দেয়া হয়, অন্যথায় জরিমানা বা জেল বা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়। ২ জন চীনা নাগরিক এ সময় বাইরে যাওয়ায় তাদের শাস্তির আওতায়ও আনা হয়। প্রতিটি বাস, ট্রেন, ট্যাক্সি এমনকি শপিংমলের সিঁড়ি, লিফট কেমিক্যাল স্প্রে করে ভাইরাসমুক্ত করা হয়।
সরকারের সকল বিভাগের সম্পৃক্ততা, সর্বনি¤œ ঝুঁকি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা, অত্যন্ত পাওয়ারফুল কন্টাক্ট ট্রেসিং সিস্টেম এবং সরকারের সব সিদ্ধান্তে জনগণের সহযোগিতায় সিঙ্গাপুর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এ কারণে চীনের খুব কাছে হয়েও (লেখার সময় পর্যন্ত) সিঙ্গাপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২৬ জন আর মৃত্যুবরণ ৩ জনে আটকে রাখতে পেরেছে।
আজকের লেখায় সবশেষে যে দেশটির করোনা প্রতিরোধে সফলতার কথা লিখতে যাচ্ছি, সে দেশটি চীন থেকে মাত্র ১৩০ কিমি প্রস্থের প্রণালী দিয়ে বিচ্ছিন্ন। সোয়া ২ কোটির বেশি মানুষের তাইওয়ানে (এ ফিচার লেখার সময় পর্যন্ত) করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যা মাত্র ৩২২ আর মৃতের সংখ্যা ৫ জন। তাইওয়ানে প্রথম করোনা রোগী ২১ জানুয়ারি শনাক্ত হলেও, তারা প্রস্তুতি শুরু করেছিল আরো আগে। চীনের উহানে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই সতর্ক হয় তাইওয়ান প্রশাসন। তাদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী স্ট্র্যাটেজির মধ্যে একাধারে আগে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থাগ্রহণ, ডাটাসেন্টার ও অনলাইন প্লাটফর্মসমূহের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং সরকারের যাবতীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে জনগণের কাছে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুরু থেকেই হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়িয়ে চলার ব্যাপারে ছোট ছোট করে মেসেজ পাঠানো হয় সবার ফোনে। টিভিতে করোনাভাইরাসের রিস্ক আর করণীয় নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়।

 

তাইওয়ানের লক্ষ লক্ষ মানুষ চীনে কাজ করে, যার কারণে চীন আর তাইওয়ানের মাঝে বিমান যোগাযোগ ও পর্যটকদের আনাগোনা অনেক বেশি। এ বিষয়টি তাইওয়ান শুরুতেই গুরুত্ব দেয়। ৩১ ডিসেম্বর থেকেই তাইওয়ান উহান থেকে আসা সকল প্যাসেঞ্জারকে পর্যবেক্ষণের আওতায় নিয়ে আসে; ২৩ জানুয়ারি তারিখ থেকে উহানের অধিবাসীদের আগমন নিষিদ্ধ করে; ২৫ জানুয়ারি থেকে চীন ভ্রমণ বন্ধ ঘোষণা করে এবং ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চীন থেকেই সব ধরনের আগমন বন্ধ করে দেয়। মেডিকেল কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে ২৪ জানুয়ারি থেকে দেশটি সার্জিকাল মাস্ক রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন বাড়াতে অনুরোধ করে। এরই সাথে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করে এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য। সেনাসদস্যরা মাস্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করতে শুরু করে, যাতে মার্চের শুরুতে দৈনিক মাস্কের উৎপাদন ৯০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরই সাথে সাপ্তাহিক হিসেবে মাস্ক কেনার ওপর সীমারেখা তৈরি করে দেয় এবং অনলাইনে অর্ডার করে বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করে। তাইওয়ানের অ্যালকোহল ও সুগার করপোরেশন স্যানিটাইজার তৈরির জন্য অ্যালকোহল তৈরি ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
তাইওয়ানের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্যসেবা, যেটি সমন্বিত পদ্ধতিতে সুবিধাজনকভাবে স্বল্পমূল্যে দেশের সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে। এতে রোগীদের সকল মেডিকেল হিস্ট্রি সংরক্ষিত থাকে, যাতে পরবর্তীতে যেকোনো চিকিৎসায় ডাক্তাররা তার সহায়তা নিতে পারে। এছাড়া তাইওয়ান প্রযুক্তির দিক থেকে বেশ এগিয়ে থাকা দেশ। এই দুই সক্ষমতাকে তাইওয়ান বেশ কার্যকরভাবে ব্যবহার করে। তারা তাদের ন্যাশনাল ডাটা সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের দেশের নাগরিক ও বিদেশীদের ১৪ দিনের ট্রাভেল হিস্ট্রি তাদের মেডিকেল হিস্ট্রির সাথে সমন্বয় করে এবং সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ফার্মেসিকে তা ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। এর বাইরে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে, তাদের ট্র্যাক করা হয়, যেন তারা বাসার বাইরে না যেতে পারে।
আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল বলছে, তাইওয়ান শুরু থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১২৪টি পৃথক সিদ্ধান্ত নেয়। তাইওয়ানের এ উদ্যোগগুলো বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয় এবং পরবর্তীতে অনেক দেশ তাইওয়ানের উদ্যোগসমূহকে অনুসরণ করা শুরু করে।
কথায় আছে, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। ওপরে যে ৩টি দেশের কথা উল্লেখ করলাম তারা এই আপ্তবাক্যের বাইরে এসে কাজ করায় নিজেদের এই মহামারী থেকে যথেষ্ট রক্ষা করতে পারছে। ২০০৩-০৪ সালে সার্স নামের আরেকটি ভাইরাসজনিত রোগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপরই উল্লিখিত দেশগুলো এরকম অসুবিধা পরবর্তীতে হলে তার জন্য আগেই ব্যবস্থা নিয়ে রাখে এবং চীন ৩১ ডিসেম্বর এ বিশেষ ধরনের ভাইরাসের ঘোষণা দেয়ার পর বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমলে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের অধিকাংশ দেশ একে এশিয়ান সমস্যা হিসেবে প্রথমে পাত্তা না দেয়ায় এর মূল্য চুকাতে হচ্ছে।