বারো বছরের ছোট্ট কিশোর নাম তার আহমাদ
হাঁটতে পারেনা, হুইল চেয়ারেই বাঁচার স্বপ্ন সাধ।
স্কুলে যাবে বিকেলের রোদে ওড়াবে রঙিন ঘুড়ি
কিন্তু আকাশে কালো শকুনের এ কেমন ওড়াউড়ি!
যুদ্ধের নামে ঘরবসতির ওপরে ফেলছে বোমা
তামা তামা করে দিলো একদিন তার গৃহ, বাবা ও মা ।
বসত হারিয়ে খান ইউনিসে নিতে হলো আশ্রয়
স্তব্ধ কিশোর, দুই চোখে তার রাজ্যের বিস্ময়!
কে তার শত্রু? কোনোদিন কি সে করেছিলো কারো ক্ষতি?
হাসিখুশি ছেলে রুষ্ট হয়েছে কখনো কি কারো প্রতি?
তারার মতন জ্বলজ্বলে চোখ চাঁদের মতন হাসি
পড়শিরা বলে, সোনা পাখি তোরে খুব খুব ভালোবাসি।
একদিন রাতে এলো দানবেরা রক্তের নেশা চোখে
প্রতিপক্ষ তো নিরীহ মানুষ কে আছে তাদের রোখে
খান ইউনিসে মিসাইল হামলা ভাবেনি হয়তো কেহ
বিস্ফোরণের তীব্র আগুনে পুড়ে গেল তার দেহ!
পালাতে পারেনি, কী করে পালাবে, ছিল না তো সঙ্গতি
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখলো আগুনের রঙ গতি।
পুড়ে যেতে যেতে দেখলো মৃত্যু, যুদ্ধের বিভীষিকা
এই হত্যার সঙ্গে জড়িত ইউরোপ আমেরিকা।
এটা কি যুদ্ধ নাকি জিঘাংসা উত্তর দাও তুমি?
কোন অধিকারে দখল করেছো অন্যের বাসভূমি?
কোন বিবেকের আগুনে পোড়ালে নিরস্ত্র শিশু নারী?
উত্তর দাও, মনুষ্যত্বের বড় বড় ধ্বজাধারী!
এই শিশুটি কি তোমাদের দিকে ছুঁড়েছিল মিসাইল?
এই শিশুরা কি তোমার শত্রু ইউকে, ইসরাইল?
তোমাদের দেশে সুকোমল নারী, ফুলেল শিশু কি নাই?
এইখানে এসে অনুভবগুলো মরে যায় কেন ভাই?
তোমাদের দিকে তাকালে এখন দানবের ছবি দেখি
তোমাদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ঘৃণার কাব্য লিখি
নিষ্পাপ শিশু নারীর বক্ষে এঁকেছো দুঃখ শোক
অতীতের মতো তোমরা গ্রহের সব’চে ঘৃণিত লোক।
প্রকাশকাল : মে, ২০২৫