জাতির পিতা ইব্রাহিম! দেখেন এমন স্বপ্ন,
স্বপ্ন তো নয় আল্লাহর ওহি, প্রেমময় এক লগ্ন।
বলেন তাঁকে ‘হে ইব্রাহিম, তোমার প্রিয় যেজন
কোরবানি দাও প্রভুর নামে, বস্তু কিবা স্বজন।
ভাবেন বসে নবী আমার সবচে’ প্রিয়জন,
আমার পুত্র ইসমাঈল’ই সেই প্রিয় স্বজন।
তাই যদি হয় প্রস্তুত আমি দিতে সে কোরবানি,
‘ইসমাঈল’ কে জানান তিনি আল্লার আদেশখানি।
সবটা শুনে মিষ্টি হেসে বলেন ইসমাঈল,
আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টিই আমারও মঞ্জিল।
আজ্ঞা পালন করুন বাবা, খুশিই আমি এতে,
যায় যাবে এই তুচ্ছ জীবন প্রভুর প্রেমেতে।
ইসমাঈলের হাত পা বেঁধে চালান গলায় ছুরি,
গলা কাটে না হায়, করেন যতোই জোরাজুরি।
তাই তিনি দু’চোখ বেঁধে নেন কাজের মাঝে থেমে,
তখন ‘ফেরেশতা জিবরাইল’ আসেন ধরায় নেমে!
জান্নাতি এক দুম্বা সাথে নিয়ে এলেন তিনি,
ইসমাঈলের বদলে হয় সে ‘দুম্বা’ কোরবানি!
তখন থেকেই রেওয়াজ হলো ‘কোরবানির ঈদের’
আল্লাহ বলেন প্রমাণ পেলাম দুজনের প্রেমের।
তোমাদের এই ত্যাগের দরুণ চিরজীবন ধরে,
‘ঈদ-উল-আজহা’ পালন হবে মুসলিমদের ঘরে।
জাতির পিতা ইব্রাহিম ও পুত্র ইসমাঈল এ,
প্রভুর নিকট শোকর আদায় করেন দুজন মিলে।