পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা

শরীফুল ইসলাম

0
17

পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা; যেটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাবনা জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি বর্তমানে পাবনার অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নৈতিক গুণাবলির অধিকারী একজন যোগ্য ও সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মানব সম্পদে পরিণত করার উদ্দেশ্য নিয়ে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে অত্র প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠাকালীন এখানে প্রাথমিক শাখায় পাঠদান করা হলেও ২০১২ সালে এটিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। পাবনা জেলা পুলিশের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অত্র স্কুলটি পরিচালিত হয়। পাবনা জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার পদাধিকার বলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষা কার্যক্রম :
অধ্যক্ষ মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখায় স্বতন্ত্র শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রভাতি শিফটে প্রাথমিক শাখা ও দিবা শিফটে মাধ্যমিক শাখায় পাঠদান করা হ্য়। সার্বিক শৃংখলা ও মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা সর্বদা চলমান থাকে। পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ পাশসহ অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করছে। বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪২৫ জন।

সহপাঠ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম:
পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা সহপাঠ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্ত:ক্লাস ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বির্তক, বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহসহ বিভিন্ন সহপাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখানকার শিক্ষার্থীরা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য ও সুনাম নিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে উঠবে এবং পড়ালেখার পাশাপাশি সুস্থ দেহ সুন্দর মনের অধিকারী হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে অত্র প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস করে। ১৯৯৬ সালে পাবনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তৎকালীন অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ পুলিশ সুপার জনাব জমশেদ উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে পুলিশ সুপার জমশেদ উদ্দিন ভূঁইয়া একাডেমিক ভবন।

বিদ্যালয়ের সাধারণ তথ্য
স্কুলের নাম: পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৫১
ঠিকানা: পুলিশ লাইন্স সড়ক, কাচারি পাড়া
ডাকঘর: পাবনা
পোস্ট কোড: ৬৬০০
উপজেলা: পাবনা সদর
জেলা: পাবনা
বিভাগ: রাজশাহী
অধ্যক্ষের নাম: অখিল চন্দ্র কুণ্ডু
সভাপতি: পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খান
মোট ছাত্র/ছাত্রী: ১৪২৫ জন
শিক্ষক সংখ্যা: প্রায় ৩৫ জন
EIIN: 134232
মোট জমির পরিমাণ: ৭৫ শতক
মোট শ্রেণিকক্ষ সংখ্যা: ১৩টি
বিজ্ঞানাগারের কক্ষ সংখ্যা: ১টি
পাঠাগারের কক্ষ সংখ্যা: ১টি
সীমানা প্রাচীর: আছে
মোবাইল: ০১৩০৯১৩৪২৩২
ফোন: +88025888444363
ওয়েবসাইট: plscpabna.edu.bd

অখিল চন্দ্র কুণ্ডু

অধ্যক্ষের কথা :
আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে আমাদের পাবনা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে দেশের একটি স্বনামধন্য শিশুকিশোর মাসিক ম্যাগাজিন ‘মাসিক ফুলকুঁড়ি’তে একটি কলাম প্রকাশিত হবে। আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীই প্রচণ্ড মেধাবী ও কর্মঠ। পড়াশোনার পাশাপাশি কো-কারিকুলাম এ্যাকটিভিটিসে তারা নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। ফুলকুঁড়ি আসরের বিভিন্ন আয়োজনে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করে কৃতিত্ব অর্জন করছে। শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমি সকলের উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করছি। মাসিক ফুলকুঁড়িকে ধন্যবাদ।

নাসিফ জাওয়াদ ওয়াসী

মাসিক ফুলকুঁড়ি অত্র বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসিফ জাওয়াদ ওয়াসীর সাথে কথা বলে। কথোপকথন এর অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো:

মাসিক ফুলকুঁড়ি : এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তোমার অনুভ‚তি কেমন?
নাসিফ : এখানে ভর্তির পর নতুন পরিবেশে প্রথমে আমার মনটা একটু খারাপ ছিলো। ধীরে ধীরে সবার সাথে পরিচিত হয়ে এবং শিক্ষকমণ্ডলীর ভালোবাসা পেয়ে এখন এই স্কুলে পড়তে আমার ভালোই লাগছে।
মাসিক ফুলকুঁড়ি : তোমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণ কেমন?
নাসিফ : আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফ্রেন্ডলি। একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা এবং পাশে থাকার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত। আর শিক্ষকগণ খুবই আন্তরিক। তারা আমাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেন এবং আমাদের ভালো ফলাফল অর্জনে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।
মাসিক ফুলকুঁড়ি : বিদ্যালয়ের কোন বিষয়টি তোমার বেশি ভালো লাগে?
নাসিফ : বিদ্যালয়ে বড় একটি মাঠ আছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল-ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাসিক ফুলকুঁড়ি : বিদ্যালয়ের মান আরও উন্নতির লক্ষ্যে তোমার কোনো মতামত বা পরামর্শ আছে?
নাসিফ : আমাদের বিদ্যালয়ে ভবন সংখ্যা কম হওয়াতে ১দিন অতিরিক্ত ছুটি দিতে হয়। যদি ভবন সংখ্যা বাড়ানো যায় তাহলে অতিরিক্ত ছুটি দিতে হবে না, পাঠদানের সময় বৃদ্ধি পাবে এবং পড়াশোনা ও বিদ্যালয়ের মান আরও উন্নতি হবে।
মাসিক ফুলকুঁড়ি : তোমার বিদ্যালয় নিয়ে তোমার মন্তব্য কী?
নাসিফ : আমার বিদ্যালয়কে আমি খুব ভালোবাসি। আমরা সকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখবো সেই প্রত্যাশা করি। ০