এক্সোপ্ল্যানেট

আবু নেসার শাহীন

0
64

গভীর রাত। রাস্তা জুড়ে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। পুরো এলাকায় ভ‚তুড়ে পরিবেশ। দোকানপাট সব বন্ধ। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গ্যাস নেই। পানি নেই। অথচ মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি হইচইও নেই। কোনো বাড়ি থেকে বাচ্চার কান্নাও ভেসে আসছে না।
নেড়ি কুকুরগুলোকেও দেখা যাচ্ছে না। রাস্তার মোড়ে ভঁ‚ইয়া বাড়িতে আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে। পিনপতন নিরবতা। যাকী ও ইয়াদ পাশাপাশি হাঁটছে। তারও আগে।

সকালবেলা। প্রচÐ বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি হইচই আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। মানুষ বাড়ি, ঘর, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, অফিস ছেড়ে পালাতে থাকে। মোড়ে বিশাল এলাকা জুড়ে ভঁ‚ইয়া বাড়ি। বাড়ির ভেতরে পুকুর। ছয়টা দশ তলা বিল্ডিং। সূর্য ওঠার আগ মুহূর্তে বিকট শব্দ করে ছয়টা বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে। মুহূর্তে আগুন লেগে যায়। ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের অসংখ্য গাড়ি। আগুন নেভানো যাচ্ছে না।

আশে পাশের বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হেলিকপ্টার দিয়েও পানি ছিটানো হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে সমস্যা আরও বাড়ছে। বেশ কিছু দিন নানার বাড়িতে বেড়ানোর পর বাড়ি ফেরে যাকী। সকালে গলি দিয়ে ঢুকতে যাবে এমন সময় এ রকম পরিস্থিতির মুখে পড়ে। বাসায় ঢুকে দেখে কেউ নেই। সে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে। তাকে দেখে তার কিছু বন্ধু এগিয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতা করে। ফায়ার সার্ভিস প্রধান কর্নেল ফারদান চেঁচিয়ে বলল, গুড। এ বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে তোমরা পালিয়ে যাওনি। আমি তোমাদের নিয়ে গর্ব করি।

আমরা শেষ পর্যন্ত আছি। সেও চেঁচিয়ে বলল। মাঝে মাঝে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসে। সত্যি যদি দম বন্ধ হয়ে মারা যাই। তার চোখে মুখে আতঙ্ক। মৃত্যুকে ভয় পেলে চলবে না। দেখ আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একটানা কাজ করে যাচ্ছে। ওদেরও পরিবার আছে। কর্নেল ফারদান সামনে এগিয়ে যায়। মাইকে চিৎকার করে সবাইকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। সে মোবাইল বের করে দেখে নেটওয়ার্ক নেই। ইয়াদ এগিয়ে এসে তার পিঠ চাপড়ে বলল, ভাবিস না। সকালে বিস্ফোরণের পর তোর পরিবারকে পালাতে দেখেছি। আমার মনে হয় তারা নিরাপদেই আছে। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। তাবিশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।

এ সময় বিকট শব্দ করে চৌদ্দ তলা চৌধুরী ভিলা গুড়িয়ে যেতে দেখা যায়। কী ভয়ানক দৃশ্য! ধোঁয়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পুরো এলাকা কাঁপছে। অসংখ্য ইঁদুর, চিকা, তেলাপোকা, টিকটিকি রাস্তার উপর এসে জড়ো হয়। নেড়ি কুকুরগুলো দৌড়াতে থাকে। একটার পর একটা হেলিকপ্টার পানি ছিটিয়ে চলে যাচ্ছে। আশপাশের ডোবা নালার জল শুকিয়ে যাচ্ছে দ্রæত। ইকদাম জিহŸা দিয়ে চুকচুক করে বলল, শেষ পর্যন্ত কী হবে কে জানে? আমাকে একটু নিরাপদে পৌঁছে দিবে? হঠাৎ কোত্থেকে এক বুড়ি মা এসে হাজির হয়।

বুড়ি মা থরথর করে কাঁপছে।
আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন সে অবাক হয়ে বলল।
বাসায় ছিলাম। ভাবলাম মরার সময় হয়ে এসেছে। পালিয়ে কী লাভ? কিন্তু। বুড়ি মা পুরো কথা শেষ করতে পারলো না।
মিজি বাড়ি বিকট শব্দ করে ধ্বসে পড়ে।
শিট! নাহান ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতে ঘুষি মেরে বলল।
প্লিজ তাড়াতাড়ি কর। আমি মরতে চাই না। যদিও তিন ক‚লে আমার কেউ নেই। বুড়ি মা সামনে এগুতে থাকে। তারা বুড়ি মাকে অনুসরণ করে। গলি পার হলে হাইওয়ে। কোনো যানবাহন নেই। হাইওয়ের ওপাশে মাঠ। বুড়ি মাকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে আসে সবাই। ট্রান্সফার পুড়ে আগুন জ্বলছে। তারা প্রতিটা বাড়িতে ঢুকে মানুষ খোঁজে। সে চিৎকার করে বলল, কেউ আছেন? থাকলে আওয়াজ দেন। নিরাপদ স্থানে রেখে আসবো। ভয় পাবেন না। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। বেঁচে থাকলে আবার সব হবে।
ইয়াদ বলল। হঠাৎ মাঠের দিক থেকে হইচই চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ ভেসে আসছে। তারা সেদিকে দৌড়াতে থাকে।
কর্নেল ফারদান ভ্রæ-কুঁচকে বলল, কী ব্যাপার যাকী?
কিছুই বুঝতে পারছি না। সেও অবাক।
আমরা একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি ঘটনা কী? তাবিশ বলল।
ঠিক আছে যাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমার ছেলেরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কর্নেল ফারদান খুব উদবিগ্ন।
মাঠে এসে সবাই থ! স্পেসশিপ করে একদল এলিয়েন এসেছে। একজন এলিয়েন সামনে এগিয়ে এসে তার সাথে হ্যান্ডশেক করে বলল, এতক্ষণ ধরে সব দেখলাম। মানুষের কষ্ট দেখে আর
থাকতে পারলাম না। সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা করতে হবে। আমি ওয়াহিব। তুমি…।
সে কী বলবে কিছু ভেবে পায় না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। ওয়াহিব বলল, খুব অবাক হচ্ছো না?
আ-স-লে…। ইকদাম কিছু একটা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু তার গলা জড়িয়ে আসে। এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেও তোমরা আছো। আমি বাহাত। অন্য একজন এলিয়েন বলল। ছেলেরা কাজে লেগে যাও। একজন বুড়ো এলিয়েন চিৎকার করে বলল। এক মিনিট এক মিনিট। সে এলিয়েনদের দিকে এক নজর চেয়ে নিয়ে বলল। মানে! মানে কী? ওয়াহিব তার কথা শুনে খুব অবাক হয়। তার আগে চল। তোমাদেরকে কর্নেল ফারদানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। উনি এই উদ্ধার অভিযানের প্রধান। সে বলল। ও আচ্ছা। ওয়াহিব মুচকি হেসে বলল। সে সবাইকে দ্রæত কর্নেল ফারদানের কাছে নিয়ে আসে। কর্নেল ফারদান বলল, এ মুহূর্তে এতো কিছু ভাবার সময় নেই। তোমরা কাজে লেগে যাও। আমরা পুরো এলাকা স্কেন করে দেখেছি। এখনও কিছু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যায়নি। আমরা বরং সেদিকটা দেখছি। যাকী ও তার বন্ধুরা আমাদের সাথে থাকো। তোমাদের সাহায্য লাগবে। ওকে। বেস্ট অফ লাক। বিকট শব্দ হয়। হাজী বাড়ি ধ্বসে পড়ে। প্রচÐ ধুলো ওড়ে। সবাই মাস্ক পড়ে। চোখ বন্ধ করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে তারা। ধীরে ধীরে ধুলো কমতে থাকে। একটু একটু করে সামনে এগুতে থাকে। একটা পুরনো জমিদার বাড়ি। ভেতরে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। খানাখন্দে পানি জমে আছে। ইট বালুর স্তুপ। ওয়াহিব বলল, স্কেন মেশিন বলছে ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে এ বাড়িতে। ঠিক কোন জায়গায় আছে? সে উদবিগ্ন হয়ে বলল। মা-বাবা বাচ্চা রেখে পালিয়েছেন! আশ্চর্য ব্যাপার! বাহাত খুব অবাক হয়। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মানুষ আর এলিয়েন কি এক? মানুষ ভুল করবে সেটা খুব স্বাভাবিক। মনে হচ্ছে কোনো কাপড়ের স্তুপে। সে কাঁদছে। তবে কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে না। ওয়াহিব বলল। সে কি নিঃশব্দে কাঁদছে?
হুঁ। তোমরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়। রাজবাড়ি কিন্তু ছোট না। তিন তলা রাজবাড়ি। কাঠের সিঁড়ি। পলেস্তারা খসে পড়ছে। মনে হচ্ছে বাড়িটা কাঁপছে। তন্ন তন্ন খুঁজেও পাওয়া গেল না। সে বলল, ঘটনা কী?
খড়কুটো দিয়ে ঢাকা। চারপাশ জুড়ে পানি। পানিতে শাপলা ফুল। ওয়াহিব বলল। রাজবাড়ির পেছনে পদ্মপুকুর।
পুকুর ভর্তি শাপলা ফুল।
কিন্তু…। সময় নষ্ট করে লাভ নেই। এক্ষুণি চল।
পদ্মপুকুরের শান বাঁধানো ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। সে নৌকায় ওঠে। পুকুরের মাঝখানে একটা ঢিবি। ঢিবির উপর কিছু খড় দেখা যাচ্ছে। সে নৌকা থেকে নেমে ঢিবির উপর ওঠে। সত্যি সেখানে একটা বাচ্চা হাত পা ছুঁড়ে কাঁদছে। সে চেঁচিয়ে বলল, ধন্যবাদ ওয়াহিব।
তুমি না আসলে…

হঠাৎ পুকুরের পানিতে ঢেউ ওঠে। সে দ্রæত নৌকায় ওঠে। ঘাটে নৌকা ভিড়তেই রাজবাড়ি ধ্বসে পড়ে। ধীরে ধীরে ঢিবি পুকুরের পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। আকাশ মেঘলা। আবার প্রচÐ গরম। বাতাস নেই। মাঠে হতাশ হয়ে বসে আছে সবাই। সে বলল, এ মুহূর্তে বৃষ্টি হলে ভালো হতো। ব্যবস্থা করবো! বাহাত উঠে দাঁড়ায়। এবং স্পেসশিপ নিয়ে মুহূর্তে হাওয়া হয়ে যায়।

তাবিশ ভ্রæ-কুঁচকে বলল, ঠিক বুঝলাম না!
ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো যায়। পেপার পত্রিকা কিছুই তো পড়িস না। সে তাবিশের দিকে আড় চোখে চেয়ে নিয়ে বলল। এ সময় বৃষ্টি শুরু হয়। তারও পরে আরও কিছু ভবন ধ্বসে পড়ে। বাহাত ফিরে আসে। তারা আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। শুরু হয় হাঁকডাক। অবাক ব্যাপার হলো কিছু মানুষ নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও বাড়ি ঘরে ঘাপটি মেরে আছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছে, প্লিজ বেরিয়ে এসো। তা না হলে তোমাদের বাঁচানো যাবে না।
একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। একটু স্বস্তি ফিরে এসেছে। আগুন নেভানোর কাজ আর করছে না কেউ। ধ্বসে পড়া ভবনে কেউ আটকে আছে কি না সেটাই দেখার বিষয়। দুপুরবেলা। কারও আহার তৃষ্ণা নেই। ওয়াহিব বাহাতও কাজ করে যাচ্ছে। সে বলল, ওয়াহিব কারও সন্ধান পেলে?
চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভেবো না। সবাইকে উদ্ধার করে তবেই ফিরবো। তোমরা কোন গ্রহ থেকে এসেছো?
এক্সোপ্ল্যানেট। অন্য সৌরজগতের গ্রহ। তোমাদের সৌরজগত থেকে ১৮০০ আলোকবর্ষ দূরে।

কি বল! সে খুব অবাক হয়। তার বন্ধুদেরও চোখ কপালে ওঠে। দেখতে অনেকটা আলুর মতো। স্ূের্য্যর খুব কাছে। প্রচÐ গরম। ঘর ছেড়ে বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই।
কী বলছো কী? সর্বনাশ! তারপর। ইয়াদ এগিয়ে এসে বলল। অভ্যন্তরভাগ কঠিন ও নিরেট । তার ওপর রয়েছে তরল আচ্ছাদন এবং তারও ওপরে রয়েছে গ্যাসীয় বায়ুমÐল। তোমাদের গ্রহে যাওয়া যাবে? নাহান বলল।
না, যাওয়া যাবে না। চোখের পলক পড়ার আগেই পুড়ে ছাঁই হয়ে যাবে। তার মানে আমরা এখানে ভালো আছি। ইকদাম বলল। না ভালো নেই। এ রকম ভ‚মিকম্প হলে মানুষের বিলুপ্ত হতে বেশি দিন লাগবে না।
হুঁ ঠিক বলেছো। সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল। সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং টপ টেন নিমিষেই ভেঙে পড়ে। কর্নেল ফারদান ও তার দল দৌড়ে মাঠের দিকে যাচ্ছে। কী ব্যাপার স্যার? চলে যাচ্ছেন যে? ওয়াহিব আশ্চর্য হয়ে বলল। সবাই মাঠে চল। এখন আর এখানে থাকা নিরাপদ না। তোমরাও এসো। বেঁচে থাকলে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করবো। সবাই কর্নেল ফারদান ও তার দলকে অনুসরণ করে। মাঠে প্রচুর মানুষ। এক সাংবাদিক দৌড়ে এসে তাকে প্রশ্ন করে, এলাকার ভেতরে কি ভয়াবহ অবস্থা?
তা আপনি গেলেই দেখতে পারবেন। দয়া করে একবার ঘুরে আসুন। তার রাগ ওঠে। সে দ্রæত সরে পড়ে। বৃষ্টি পড়ছে এখনও। আমাদের আর থাকার দরকার নেই। বাহাত বলল। হুঁ। চল স্পেসশিপ এ ওঠো। লোকজন আমাদেরকে ঘিরে ধরবে এক্ষুণি। ভিনগ্রহী দেখলে সব ভুলে যায়। ওয়াহিব চারদিকে চেয়ে নিয়ে বলল।
সত্যি সত্যি স্পেসশিপ করে ওরা চলে যায়। অনেক দূর থেকে আসরের আযান ভেসে আসে। এক দিকে লঙ্গরখানা খুলেছে। হুলস্থুল কাÐ। আসলে ক্ষুধাও লেগেছে। সে সকাল থেকে না খাওয়া। তার খাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। সে ঘুরে ঘুরে পরিবারের সদস্যদের খোঁজে। কিন্তু কোথাও তাদের দেখতে পায় না।

উপসংহার : সে ও ইয়াদ পাশাপাশি হাঁটছে। বৃষ্টি থেমে গেছে সেই কখন। রাস্তায় পানি জমে আছে। ইয়াদ নিচু গলায় বলল, পরিবারের কোনো খবর পেলি? না। সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
অনেক বছর পর আবার এলাকাটি আগের জায়গাতেই ফিরে আসবে, তাই না?
হয়তো। হয়তো না। ঠিক বলেছিস।
এ সময় তার মোবাইল বাজে। সে দেখে স্কিনে মার নম্বর। সে উৎফুল্ল হয়ে বলল, মা! তোমরা ঠিক আছো? হ বাপ। বেঁচে আছি। তোদের টিভিতে দেখলাম। গর্বে বুক ভরে গেল। তোর মেজো খালার বাসায় আছি। এক্ষুণি রওয়ানা দে। ঠিক আছে। লাইন কেঁটে যায়। যা বন্ধু যা। সে রওয়ানা দেয়। চাঁদ ওঠে। ফুরফুরে বাতাস বইছে। হাইওয়ে এসে দেখে দিব্যি গাড়ি চলছে। সে একটা গাড়ি থামিয়ে উঠে পড়ে।