পর্ব : পাঁচ
নানাবাড়ির পথে-১
আর সবার মতো বিলুরও নানাবাড়ি আছে। তবে তা কাছে পিঠে নয়Ñ তার নানাবাড়ি সেই সুদূর সিরাজগঞ্জ শহরে। বাড়ির নাম বাণীকুঞ্জ। সিরাজগঞ্জ পাবনা জেলার মহকুমা শহর। নানা-নানী কাউকে বিলু দেখেনি। কারণ, তার জন্মের পঁচিশ বছর আগে নানা ও জন্মের পাঁচ বছর আগে নানী মারা গেছেন। বাড়িতে বাইরের কেউ এলে মার সাথে তাদের কথা বলার সময় কখনো কখনো নানার কথা ওঠে। মা তার আব্বার কথা বলেন তাদের কাছে। তা থেকেই বিলু জানতে পারে যে তার নানা ছিলেন একজন বিখ্যাত মানুষ, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন শিরাজী। বিলু পরে জেনেছে, তিনি ছিলেন বিশ শতকে বাঙালি মুসলিম জাগরণের অন্যতম অগ্রদূত, ইংরেজবিরোধী স্বাধীনতাকামী বিশিষ্ট নেতা, কবি ও ঔপন্যাসিক। ভীষণ প্রত্যয়দৃপ্ত মানুষ ও খুব নাম করা বক্তা ছিলেন তিনি। ইংরেজরা দেশের মানুষকে পরাধীন করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে তিনি আগুন ঝরানো বক্তৃতা করতেন। বাঙালি মুসলমানদের জাগিয়ে তোলার জন্য জ¦ালাময়ী ভাষায় কবিতা লিখেছেন। ১৯০০ সালে ‘অনল প্রবাহ’ নামে একটি কাব্য প্রকাশিত হয় তাঁর। সে কাব্যের নানা কবিতায় তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। মুসলমানদের স্বাধীনতা লাভের জন্য সংগ্রাম করার আহবান জানান। সে কারণে ইংরেজ সরকার তাকে দু’বছরের জেল দেয়। তিনি যেমন ছিলেন সাহসী তেমনি মাথা উঁচু করে রাখা মানুষ। সে সময় বাংলার মুসলমানদের বেশির ভাগ মানুষ ছিল দরিদ্র ও কৃষিজীবী। তাদের মেয়েরা কেউই স্কুলে যেত না, আর ছেলেদের মধ্যেও হঠাৎ দু’একজন লেখাপড়া শিখত। শিরাজী সাহেব সেকালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, পাবনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, রাজশাহী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুরসহ দেশের আনাচে কানাচে গিয়ে সভায় মুসলমানদের জেগে ওঠার আহŸান জানাতেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে স্কুলে পাঠানোর জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতেন। মুসলমানদের জন্য তাঁর ছিল ভীষণ দরদ। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে বিলু মায়ের কাছে নানার লেখা দু’টি বই দেখেছে। একটি হলো কাব্য ‘অনল প্রবাহ’, অন্যটি ‘রায়নন্দিনী’ নামের উপন্যাস। মা বই দু’টি যতেœর সাথে বাক্সের মধ্যে রাখেন। গণ্যমান্য কেউ এলে বের করে দেখান। বিলুর মা তার আব্বাকে ডাকতেন বাপজান বলে। সাংসারিক ঝামেলা ও দূরত্বের কারণে তার মা নানা বাড়ি যেতে পারতেন খুব কম। চেষ্টা করতেন বছরে একবার যেতে। তবে সব বছরেই যাওয়া হয়ে উঠত না।
বিলুর স্মৃতিতে কয়েকবার নানাবাড়ি যাওয়ার কথা মনে আছে। প্রতিবারই তারা যেত ফাল্গুন মাসে। তার নানার ইন্তেকালের পর তাঁর বড় ছেলে মানে বিলুর বড় মামা সৈয়দ আসাদ উদ্দৌলা শিরাজী সংসারের প্রধান হন। তিনিও প্রথম জীবনে তরুণ নেতা হিসেবে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন করে জেল খেটেছেন। নামকরা বক্তা ও শক্তিশালী লেখক ছিলেন। তাঁর কাব্য ও প্রবন্ধগ্রন্থ এবং গজল-গানের কয়েকটি বই আছে। মাঝবয়সে তিনি আধ্যাত্মিক সাধনার দিকে মনোনিবেশ করে পীর হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন ও চিশতিয়া তরিকার একজন পীর হন। দেশের বৃহত্তর রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং ভারতের কুচবিহার ও আসামে তার বহু মুরিদ ছিল। বড় মামা প্রতি বছর বাংলা সনের ২৩, ২৪ ও ২৫ ফাল্গুন এ তিন দিন বাণীকুঞ্জে জাঁকজমকের সাথে ওরস আয়োজন করতেন। মাকে ওরসে যাওয়ার জন্য প্রতি বছরই চিঠি পাঠাতেন বা লোক মারফত খবর দেন। তবে মা সব সময় ওরসে যেতে পারেন না। প্রথমবার নানা বাড়ি যাওয়ার স্মৃতি হিসেবে ১৯৬২ সালের কথা মনে পড়ে বিলুর। তখন বয়স ছয় বছর। সে সময় তার আব্বা বেঁচে ছিলেন। কোন পথে কিভাবে তারা সিরাজগঞ্জ গিয়েছিল তার সব মনে পড়ে না। তবে তারা ফিরেছিল সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রেনে ঈশ^রদী। সেখান থেকে পাবনা শহরে এসে পদ¥াতীরের ঘাটে পৌঁছেছিল। তাদের এলাকা বরাবর পদ্মার উত্তর পাড়ে পাবনা জেলায়, দক্ষিণ পাড়ে কুষ্টিয়া জেলা। এ হিসেবে তাদের গ্রামের প্রায় উল্টো দিকে খানিকটা উজানে পাবনা শহর। অবশ্য নদীর ঘাট থেকে পাবনা শহরের অবস্থান মাইল তিনেক উত্তরে । যাহোক, নৌকায় পদ্মা পাড়ি দিয়ে এসে তারা নেমেছিল তাদের ঘাটে। বিলুরা পদ্মাপাড়ের মানুষ। নদীর ঘাট থেকে পোয়ামাইল দূরেই তাদের বাড়ি।
অন্য আরেকটা পথ আছে। সেটা হল সিরাজগঞ্জ থেকে খুলনা মেইলে ইশ^রদী হয়ে পোড়াদহে এসে নামা। তারপর খুলনা-গোয়ালন্দ লোকাল ট্রেন ধরে তাদের স্টেশন খোকসায় এসে নামতে হয়। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে তাদের গ্রাম ধোকড়াকোলে ফিরতে হয়। ওই পথে আরো বেশি ঝামেলা বলে আব্বা পাবনা হয়ে ফেরাই ভালো মনে করেছিলেন বলে বিলুর মনে হয়।
বিলুর আব্বা মারা যাওয়ার পর থেকে তার মা সিরাজগঞ্জ গেলে ছোট ছেলে বিলুকে সাথে নিয়ে যান। দ্বিতীয় বার সিরাজগঞ্জ যাওয়ার স্মৃতি বিলুর মনে অনেক উজ্জ্বল। প্রায় সবই মনে আছে। সে ১৯৬৫ সালের কথা। বিলু তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। বড় মামা সেবার চিঠি লিখে মাকে যেতে বললেন। বিলুর দু’ বছরের বড় ভাই হেলাল। ভারি দুরন্ত। সে বলে দিলো যাবে না। মা গ্রামের এক বয়স্কা বিধবা এন্তার মাকে ঠিক করলেন। তার ছেলের নাম এন্তাজ, তাই তার নাম হয়ে গেছে এন্তার মা। ছেলে বিয়ে করেছে। বেটার বৌ-ই সংসার দেখে। তাই সংসারে তার দায়িত্ব কম। বিশ^স্ত। একটাই সমস্যা। সারাক্ষণ কথা বলে সে। এটা তার রোগ। মা না ফেরা পর্যন্ত বিলুদের বাড়ি থাকবে সে, দেখাশোনা করবে, ভাইকে রান্না করে দেবে। মা যাবার তারিখ ঠিক করলেন ২১ ফাল্গুন। এবার যাত্রার ব্যবস্থা। বিলুকে গিয়ে ও পাড়ার সোনা গাড়েলকে (গাড়িয়ালের গ্রাম্য কথ্য রূপ) খবর দিয়ে আসতে বললেন। ভোর রাতে তার মোষের গাড়িতে করে খোকসা স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার কথা ঠিক করতে হবে। সেখান থেকে সকাল ৭টায় ট্রেন ধরতে হবে তাদের। সুতরাং রাত সাড়ে তিনটার মধ্যেই গাড়ি রওনা হতে হবে বাড়ি থেকে। তাদের বাড়িতে ঘড়ি নেই। পাড়ায় মাত্র দু’জন লোকের হাতঘড়ি আছে। আর মাত্র একজনের বাড়ি আছে একটা দেয়াল ঘড়ি। দু’জনের বাড়িই তাদের বাড়ি থেকে কয়েকবাড়ি দূরে, পাড়ার মাঝামাঝি। অত রাতে তাদের ঘুম ভাঙিয়ে সময় জানা সম্ভব নয়। তবে গাঁওগেরামের মানুষদের ঘড়ির তেমন দরকার হয় না। তারা দিনে সূর্য ও রাতে চাঁদ বা তারার অবস্থান দেখে সময়ের আন্দাজ করে নেয়। আর তা প্রায় ঠিকঠাকই হয়। বিলুর মা সোনা গাড়েলকে বারবার বললেনÑ
বাবা, সময়মতো গাড়ি নিয়ে চলে আসবা কিন্তু। গাড়ি ফেল হয় না যেন।
সোনা গাড়েল অভয় দিয়ে বললেনÑ আপনে চিন্তা করবেন না চাচি। আল্লাহর মর্জি আমি ঠিক সময়মতো আপনারে নিয়ে যায়া গাড়ি ধরা দেবোনে।
বিলু ভাবে, কি যে দীর্ঘ আর ভোগান্তি ভরা সেই সিরাজগঞ্জ যাত্রা! মোষের গাড়ির গতি ভীষণ রকম ধীর। তাদের বাড়ি থেকে খোকসা রেল স্টেশনের দূরত্ব পাঁচ মাইল। পায়ে হেঁটে গেলে লাগে সোয়া ঘণ্টা। মোষের গাড়িতে গেলে লাগে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা। রাতে ঘুম প্রায় হলো না বিলুর। মা এটা ওটা গুছিয়ে সময় পার করলেন। এক সময় সোনা গাড়েল এসে ডাকলÑ চাচি, আমি আইছি। চলেন।
শেষবারের মতো এন্তার মাকে ঠিকঠাক মতো থাকতে বলে আর হেলালকে নিয়মিত স্কুলে যেতে বলে গাড়িতে উঠলেন মা। তার সাথে বিলুও। গাড়ি ছাড়ল।
চারপাশ ছেয়ে আছে আঁধারে। সোনা গাড়েল গাড়ির ছইয়ের সামনে একটি হারিকেন ঝুলিয়েছে। তার সামান্য আলোতে কি আর আঁধার কাটে! পরিচিত পথে মোষ দু’টি মন্থর গতিতে গাড়িটা টেনে নিয়ে চলে। খানিকক্ষণ চলার পর এলো মাদার তলার মাঠ। উত্তর-দক্ষিণে বিছিয়ে থাকা বিশাল মাঠ তো নয়Ñ যেন প্রান্তর। মাঠের পুবদিকে জয়ন্তীহাজরা গ্রাম, পশ্চিমে ডাঙ্গিপাড়া। মাঝখানটা পুরো ফাঁকা। মাঠের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া পথ এ প্রান্তরকে দু’ভাগ করেছে। রাতের বেলা এ মাঠ পাড়ি দিতে অনেকেই ভয় পায়। সেই নিস্তব্ধ শেষরাতে, তখনো ফজরের আজান হয়নি, বিলু তাকিয়ে রইল মাঠের দিকে। চারদিকে আঁধারের কালো চাদর বিছানো, কিছুই দেখতে পেল না সে। এই শেষ ফাল্গুনের ভোর রাতে বইতে থাকা শীতল বাতাস খুব ভালো লাগে তার। দু’একবার মুখ ফিরিয়ে হারিকেনের সামান্য আলোয় মাকে দেখল সে এক মনে তসবিহ জপে চলেছেন।
খোকসা স্টেশনে তারা পৌঁছলো সূর্য ওঠার সময়। সোনা গাড়েল স্টেশন ঘরের কাছে বিরাট নিমগাছের তলায় গাড়ি রাখল। খোকসা স্টেশন ঘরটা বেশি বড় নয়। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা ঘরের ঠিক মাঝখান দিয়ে স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর পথ। পুব দিকের অংশে স্টেশন মাস্টারের অফিস ঘর, পশ্চিমের অংশে খোলা জায়গা। সেখানে একটি মাত্র সিমেন্টের বেঞ্চি। মেয়ে যাত্রীরা সেখানে বসে। তবে ৪-৫ জনের বেশি জায়গা হয় না। বিলু দেখল, দু’জন মহিলা বেঞ্চে বসে আছে। তার মা তাদের পাশে বসলেন। সোনা গাড়েল মার বাক্স নিয়ে এলো। এ সময় ঘণ্টা হলো ট্রেনের। মা হাতের বটুয়াটা খুলে তার হাতে ভাড়ার পাঁচটি টাকা দিলেন। বললেনÑ
আমাদের জন্য দোয়া করো বাবা যেন সহিসালামতে পৌঁছতে পারি।
Ñ হ চাচি, দোয়া করি। তয় আমি আপনেরে দুইজনের গাড়িতে তুলে দিয়ে যাবোনে।
মা খুশি হয়ে বললেনÑ আচ্ছা বাবা।
ঘণ্টা হওয়ার পরপরই টিকেট ঘরের জানালা খুলে গেছে। মা দশ টাকার একটা নোট দিলেন বিলুর হাতে। বললেনÑ গিয়ে বল যে সিরাজগঞ্জ বাজারের দুটা টিকেট দেন।
সাত-আটজনের পিছনে লাইনে দাঁড়াল বিলু। কয়েক হাত দূরে জাল ঘেরা জানালার পিছনে টিকেট বিক্রেতা। সে জানালার একেবারে নিচে টাকা ঢোকানোর মতো ফোকর আছে। কেউ টিকেট চাইলে টিকেট বিক্রেতা সে স্থানের ভাড়া অনুযায়ী টাকা চাইছেন। টাকা দেয়ার পর পাশের ছোট ছোট খোপ থেকে নির্দিষ্ট টিকেট বের করে আনছেন। তারপর একটা যন্ত্রের মধ্যে সেটা ঢুকিয়ে চাপ দিচ্ছেন। খট করে শব্দে টিকেটের গায়ে তারিখ বসে যাচ্ছে। তারপর খুচরো টাকা-পয়সাসহ যাত্রীর হাতে তিনি টিকেট ধরিয়ে দিচ্ছেন। এতে বেশ সময় লাগছে। বিলু যখন টিকেট পেল তখন স্টেশনের বেশ কাছে চলে এসেছে ট্রেন।
তৃতীয় শ্রেণির একটি বগিতে উঠে পড়ে বিলুরা। বাক্সটা ভেতরে বাংকের ওপর তুলে দিয়ে নেমে গেল সোনা গাড়েল। বসার জায়গা পেয়ে গেল তারা। মা জানালার পাশে বসলেন। তার পাশে ভিতরের দিকে বিলু। ছাড়ার ঘণ্টা পড়ল। কয়লার ইঞ্জিনের ট্রেন। একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে চলতে শুরু করল। বিলু জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে। ট্রেনে উঠলেই জানালা দিয়ে তাকিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখা তার নেশা। সে ভেতরে ভেতরে একটু উত্তেজিত। কারণ বুদ্ধি হওয়ার পর দীর্ঘ ট্রেন যাত্রা তার এই প্রথম। এর আগে এক দু’বার আব্বার সাথে কুষ্টিয়া এসেছে। কিন্তু এবারের গন্তব্য সিরাজগঞ্জ বাজার। যেতে অনেক ঝামেলা। শিলিগুড়ি ট্রেন কুমারখালি-চড়াইকোল-কুষ্টিয়া-কুষ্টিয়া কোর্ট-জগতি হয়ে যাবে পোড়াদহ জংশনে। সেখানে এ ট্রেনের দিক পরিবর্তন হবে। যে ট্রেন এখন পশ্চিমে যাচ্ছে তা পোড়াদহে গিয়ে ইঞ্জিন কেটে এসে দিক বদলে রওনা হবে উত্তরে ঈশ^রদী অভিমুখে। ইঞ্জিন কাটা মানে পোড়াদহে পৌঁছে এ ট্রেনের ইঞ্জিন সামনে থেকে চলে আসবে পেছনে। গাড়ি ঠেলে পিছনে নিয়ে যাবে। এবার উল্টোমুখ ইঞ্জিন ট্রেন নিয়ে উঠে আসবে ঈশ্বরদীগামী লাইনে। তারপর ভেড়ামারা হয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পেরিয়ে ঈশ^রদী। ততক্ষণে দুপুর ১২টা বেজে যাবে। ঈশ্বরদী পৌঁছে এ গাড়ি থেকে নামতে হবে। শিলিগুড়ি লোকাল কয়লা ও পানি ভরা নতুন ইঞ্জিন নিয়ে রওনা হবে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে। আর তারা ওভারব্রিজ পেরিয়ে পুব দিকের আরেক প্ল্যাটফর্মে গিয়ে উঠবে সিরাজগঞ্জ ঘাটগামী লোকাল ট্রেনে। সেই ট্রেনে সিরাজগঞ্জ পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তার মানে এ ট্রেন যাত্রা সারাদিনের।
চলবে…