স্বপ্ন

আবু নাঈম

0
41

১০ ডিসেম্বর ৩০৩০ সাল। যথাসময়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানগ্রাউন্ডে বিজ্ঞান মেলা শুরু। এটা সম্ভবত এযাবৎকালের সর্বোৎকৃষ্ট ও অত্যাধুনিক মেলা। চতুর্দিকে
কৃত্রিম মস্তিষ্কসম্পন্ন রোবট নিরাপত্তারক্ষীরা
দায়িত্ব পালন করছে।

স্বপ্নের ‘বিমান’ এবার পেতে হবে। হ্যাঁ, এটা কৃত্রিম রোবট পরিচালিত বিমান। আপনা-আপনি চলতে পারে। যেদিকে চাই, চাইলেই হয়ে যাবে। চলতে থাকবে বিমান। এবারের মেলার প্রথম পুরস্কার। হাতছাড়া করা যাবে না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজের প্রজেক্ট হাতে মেলায় প্রবেশ করে নাবিল। মনকাড়া প্রজেক্ট নাবিলের। তার প্রজেক্ট কৃত্রিম মস্তিষ্কসম্পন্ন রোবট হলেও এটা ব্যাটারি চালিত নয়, নিজে সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে চলতে পারে। যা একেবারেই ব্যতিক্রম।
বিকেল ৪টা। পুরস্কার দিতে মঞ্চে হাজির হলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। উপস্থাপক সোপিয়া ঘোষণা করল তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে ঢাকা আধুনিক স্কুলের ছাত্র আবু আছেম। সোপিয়া প্রথম কৃত্রিম মস্তিষ্কসম্পন্ন রোবট। এদিকে খুব ডিপ্রেশনে ভুগছে নাবিল। কী হতে চলেছে…! দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে বরিশাল রোবট স্কুলের ছাত্র আন-নাজমুস সাকিব, হর্ষচিত্তে ঘোষণা করে সোপিয়া। এই স্কুলের ছেলেরা নতুন নতুন অত্যাধুনিক রোবট বানায় বলে এই নাম। প্রথম পুরস্কার ঘোষণার পালা। আশা ছাড়ছে না নাবিল। মিনমিন করে
আল্ল­াহকে ডেকে যাচ্ছে।

অতঃপর, কোটি টাকার উত্তর দিলেন সোপিয়া। বললেনÑ ৫০০ স্কুলের ৩০ হাজার প্রতিযোগীকে যিনি পেছনে ফেলে এবারের আবিষ্কারে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তার নাম…!
বিমর্ষ নয়নে তাকিয়ে আছে নাবিল!
চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ছাত্র মুন্তাছির ছিদ্দিক নাবিল বলতেই…!
সেজদায় অবনত নাবিল।
আবেগাপ্লুুত, স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়।
সে-ই পেয়ে গেল স্বপ্নের বিমান।
এবার উড়তেই হবে ইচ্ছেমতো, ঘুরে দেখতে হবে
সব গ্রহ-উপগ্রহ।

দশম শ্রেণি, চকরিয়া আল-ইয়ামীন মডেল মাদরাসা
কক্সবাজার