কুমির থাকে জলের তলে
বানর গাছের ডালে
বন্ধু হওয়ার নজির এদের
নেইতো কোনো কালে।
একদা এক কুমির তবু
ভাবল মনে মনে
বন্ধুত্ব করতে হবে
বাঁদর ভায়ার সনে।
যেই ভাবা সেই কাজ
জল ছুঁইছুঁই গাছের পাতা
তার কিনারে উঁচিয়ে মাথা
চেঁচিয়ে বলে, বন্ধু বানর
কেমন আছো আজ?
কুম্ভীরাওয়াজ শুনে বাঁদর
বিস্মিত হয় খুব
উত্তেজনা এডাল এডাল
লাফায় সে ঝুপ ঝুপ
বন্ধু হতে গাছের পাকা
ফল ফেলে টুপটুপ
সে ফল খেয়ে কুমির আবার
জলতলে দেয় ডুব।
এইভাবে রোজ যাচ্ছিল বেশ দিন
বাঁদর লাফায় বৃক্ষে
কুমির বক্ষে বাজায় বীণ।
একদিন কী হলো
কুমির বলে বন্ধু এসো
বেড়াতে যাই চলো
নদীর চরে বাড়ি আমার
সেথায় কলাগাছের খামার
কলা তোমার খুব প্রিয় তা জানি
নেমে এসো নির্ভাবনায়
চড়বে পিঠে, জীবন্ত নায়
জলমহালে বিহার করে আনি।
শীত দুপুরে রোদটা যখন
খানিক কড়া মিঠে
বৃক্ষ থেকে নেমে বাঁদর
চড়লো কুমির পিঠে।
মাঝ নদীতে গিয়ে
বলল কুমির ইয়ে
বোকা বাঁদর বুদ্ধিতে তুই কানা
তোকে খাওয়ার লোভ ছিল খুব
তাই এতদিন থেকেছি চুপ
আজ পেয়েছি মওকা ষোল আনা।
বিপদ দেখে বানর বলে
ভীষণ অনুরাগে
আমায় খাবে সেই কথাটা
বলবে তো ভাই আগে
কলজেটা যে লটকে রেখে
এসেছি মগডালে
কলজে ছাড়া আমায় খাবার
স্বাদ পাবে না গালে।
কুমির বলে হুম
দিচ্ছি তোকে ছেড়ে
এক নিমিষে গাছ থেকে তোর
কলজেটা আন পেড়ে।
স্থলে পা দিয়েই বাঁদর
উঠল উঁচু শাখে
বেঁচে যাবার কৃতজ্ঞতায়
¯্রষ্টাকে সে ডাকে।
তওবা করে, মাফ করো হে
রহিম দয়াময়
দুষ্টু লোকের সঙ্গে দোস্তি
আর কখনো নয়।