‘বয়স কখনো দেশের ডাক থেকে কাউকে আটকে রাখতে পারে না’Ñশরৎচন্দ্রের এই কথারই বাস্তব প্রতিধ্বনি খুঁজে পাওয়া যায় কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে। যখন তাদের মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনার কথা তখন কি না তারা দেশমাতৃকার টানে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। গায়ে তাদের রাইফেল তোলার শক্তি নেই, কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের অসাধ্য কিছু ছিল না। তারা প্রমাণ করে গেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম,ভালবাসা সবকিছুই
অকৃত্রিম। অকুতোভয় এই মরণজয়ী কিশোর যোদ্ধারা আমাদের শিখিয়ে গেছে, সত্যের জন্য,স্বাধীনতার জন্য, মানুষের কি করে লড়তে হয়।
’৭১-এ স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষের মৃত্যু মিছিলে লুকিয়ে আছে অসংখ্য শিশুকিশোরের বীরত্বের কাহিনী। বড়দের পাশাপাশি অসীম সাহস নিয়ে লড়াই করে তারাও দেশের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছিল। বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিতে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে খুঁজে পাওয়া যায় কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের খুব অল্প কিছু বীরত্ব গাথা। আজ তোমাদের জানাব তেমনই কয়েকজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কেÑ
রমজান আলীর গল্প
মেজর হামিদুল হোসেনের স্মৃতিতে পাওয়া যায় বাবা ও মা হারা ১২-১৩ বছরের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলীর গল্প। পাক হানাদাররা তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তার বাবাকে মেরে ফেলেছিল। গোলাগুলির মাঝখানে সে তার মাকেও হারায়। সেই রমজান আলী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শিখে নিয়েছিল রাইফেল চালানো, গ্রেনেড ছোড়া। তার কাজ ছিল অগ্রবর্তী বাহিনীতে থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা। অপারেশনে মুক্তিবাহিনীকে গোপন পথের সন্ধান দিয়ে একদিন সে বাঁচিয়েছিল ৪০-৫০ মুক্তিযোদ্ধার একটি দলকে। ধ্বংস করেছিল বাংকার। কিন্তু জয়ের আনন্দে শিশুসুলভ খুশি আর উত্তেজনায় দৌড়াতে গিয়ে শত্রুর পাতানো মাইনে পা পড়ে যায়। মুহূর্তের মাঝে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এই বীর কিশোরের দেহ। বাহিনীর অধিনায়ক কর্র্নেল ভি কে দত্ত এই বীর কিশোর যোদ্ধার উদ্দেশ্যে সামরিক কায়দায় স্যালুট দিলেন। সৈনিকেরা অস্ত্র উঁচিয়ে ‘প্রিজেন্ট আর্মস’ করে স্যালুট দিয়ে এই কিশোরকে শেষ বিদায় জানালেন।
সাহসী মহিউদ্দিন
মুক্তিযুদ্ধের এক অসীম সাহসী বীর কিশোর যোদ্ধার নাম মহিউদ্দিন। বয়স ও উচ্চতার শর্তে বাদ পড়ায় ক্যাপ্টেন হাফিজের জিপের সামনে আড়াআড়িভাবে শুয়ে পড়েছিলেন মহিউদ্দিন নামের এই ছেলেটি। তাকে ভর্তি করা না হলে তিনি ওখান থেকে নড়বেন না। তার সোজা কথা তাকে ভর্তি করা না হলে তার ওপর দিয়ে যেন গাড়ি চালিয়ে দেয়া হয়। তিন-চারজন মিলে টানাটানি করে তাকে সরানো হলো। ক্ষেপে গিয়ে তিনি বললেন, স্যার এভাবে বয়স উচ্চতা মেপে ভর্তি করা যাবে না। এটা দেশের স্বাধীনতার লড়াই। আমাদের হাতে একটা করে গ্রেনেড দেন, শত্রুর বাঙ্কার দেখিয়ে দেন। যে একাকী শত্রুর বাঙ্কারে গ্রেনেড ছুড়ে আসতে পারে তাকেই ভর্তি করুন। সাহসের পরীক্ষা নিন। দেশের জন্য এমন মরিয়া ভালোবাসা আর সাহস দেখে শেষ পর্যন্ত তাকে সৈনিক হিসেবে ভর্তি করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর সিলেট এম সি কলেজের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শহীদ হন এই কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা।
পাবনার বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা বুলগানি
প্রকৃত নাম হাফিজুর রহমান বুলগানি। তবে সবার কাছে বুলগানি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালে তিনি রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন। এমন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পাবনায় ২৮ এবং ২৯ মার্চে প্রতিরোধযুদ্ধে তার বড় দুই ভাই তরুণ ও বরুণ সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ২৯ মার্চ পাবনায় অবস্থানরত সমস্ত পাকিস্তানি সৈন্যদের হত্যা করা হয়েছিল। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাবনা হানাদারমুক্ত থাকে। ১০ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যরা নগরবাড়ি ঘাট হয়ে দ্বিতীয় দফায় পাবনায় প্রবেশ করলে পরিবারের সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা চার ভাই ভিন্ন পথে ভারতে চলে যান। চার ভাইয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ বুলগানি দার্জিলিংয়ের পানিঘাটায় ট্রেনিং গ্রহণ করেন। ভারতের দার্জিলিং জেলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্ডার এলাকায় যুদ্ধ করে কয়েক দিন আগে ভাঙ্গুুড়া এলাকায় আসে। বাড়ির কাছাকাছি আসায় তার মায়ের প্রতি মনের ব্যাকূলতা প্রকাশ পায়। তাই কমান্ডারের কাছ থেকে এক রাত ছুটি নিয়ে ভাঙ্গুড়া ব্রিজ থেকে হাঁটতে হাঁটতে মায়ের কাছে হাজির হয়। অনেক দিন পর মাকে দেখে সে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। মাকে বলে, মা এই রাতটা তোমার কাছে থেকে আগামীকাল রাতেই আমি ফিরে যাব। মৃত্যু যেন বুলগানিকে কাছে ডাকছে। রাতটা ভালোয় ভালোয় কাটানোর পর পরের দিন দুপুরে দিকে ফাঁকা নির্জন এলাকায় বুলগানি কিশোর মনের আকুলতায় নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। ভেবেছে অনেক দিন পর দেশে আসলাম। রাতেই তো চলে যেতে হবে। একটু সামনে হেঁটে আসি। তাই পাকিস্তÍানি সৈন্যদের গতিবিধি লক্ষ করে বাড়ি থেকে কয়েক ’শ গজ দূরে মক্তব স্কুলের পাশে গিয়েছিল। সেখানেই ঘটে তার জীবনের শেষ ঘটনা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৪ বছরের এই বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে পাবনা শহরে নকশাল বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে তার মস্তক খ-িত করে। তার খ-িত মস্তক রাধানগর
তৃপ্তি নিলয় হোটেলের সামনে রেখে গিয়েছিল নরপশুরা। শহীদ বুলগানি ছিলেন পাবনার সর্বকনিষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং লাখো শহীদের মাঝে শীর্ষপর্যায়ে তার স্থান। পাবনার মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসে বুলগানি একটি সুপরিচিত নাম।
অষ্টম শ্রেণির কিশোরী পুতুলের কথা
পার্বতীপুর গ্রামে অষ্টম শ্রেণির কিশোরী পুতুলের কথা আছে মেজর হামিদুলের বইয়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি সাঁকো ধ্বংস করে শত্রু সৈন্যের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের। গ্রেনেডে আহত করে ছত্রভঙ্গ করেছিলেন পাক সৈন্যদের। মেজর হামিদুলের ভাষায়, পুতুল জেদ ধরলেন আমাদের সাথে যুদ্ধে যাবেন। সরল গ্রাম্য বালিকা, যুদ্ধের ভয়াবহতা তিনি জানেন না। অনেকভাবে বুঝিয়েসুঝিয়ে তাকে মানানো গেল। আমরা চলে গেলাম গ্রাম ছেড়ে। সাথে নিয়ে গেলাম এক মুক্তিযোদ্ধা কিশোরীর স্মৃতি।
ক্লাস এইটের ছাত্র মোজাম্মেল
কুখ্যাত আইয়ুব খানের গোঁড়া সমর্থক, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের এদেশীয় বিরোধীদের অন্যতম মোনায়েম খান। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পূর্বপাকিস্তানের আইয়ুব খানের গভর্নর ছিল সে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল সে। এই কুখ্যাত রাজাকারকে হত্যা করেছিল এক বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম মোজাম্মেল হক। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা কোষে তার এই দুঃসাহসী অভিযানের বর্ণনা দেওয়া আছে।
১৪ বছরের বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক মোনায়েম সরকারের বাড়ির আশেপাশে কয়েকদিন ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একটা সুযোগের জন্য। হেড রাজাকারকে যেভাবেই হোক হত্যা করতে হবে। বন্ধুত্ব গড়ে তুলল গভর্নরের দুই খাস কর্মচারীর সাথে। এই গভর্নরের দুই কর্মচারী শাহজাহান ও মোখলেস ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাকে বাড়ির ভেতরে ঢোকার সুযোগ করে দেয়। তারা তাকে লুকিয়ে রাখে কলাবাগানের ভেতর। গভর্নরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহজাহান বলে, বাড়ির চাকর হিসেবে তারাই জানে মোনায়েম সরকার কত বড় রাজাকার। আর দেশের স্বাধীনতা আনতে হলে তাকে মারতে হবে। কিছুক্ষণ পর খবর আসে মোনায়েম সরকার গভর্নর ড্রয়িং রুমে বসে শলাপরামর্শ করছে। মোজাম্মেলকে খবরটা দিয়েই পূর্বপরিকল্পনা মতো বাড়ি থেকে দ্রুত বের হয়ে যায় শাহজাহান ও মোখলেস। মোজাম্মেলের সাথে ছিল তার সহযোদ্ধা আনোয়ার। সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ড্রয়িং রুমে ঢুকে পড়ে মোজাম্মেল। এল.এম.জি তুলে মাঝে বসা লোকটার দিকে লক্ষ্য করে ট্রিগার চাপ দেয়। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে থাকে গভর্নর। পাশের দুইজন চিৎকার করে পেছনে লুকানোর চেষ্টা করে। এদিকে মোজাম্মেলের অস্ত্র থেকে একটা গুলি বের হয়ে তা অচল হয়ে যায়। তখন সে পকেট থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড বের করে ছুড়ে দেয় তাদের দিকে। সেটাও না ফেটে গড়িয়ে চলে আসতে থাকে তারই দিকে। মুহূর্তের মাঝে ঘটে যেতে থাকে সব। তারপর দ্রুত দেয়াল টপকে বনানি কবরস্থান হয়ে গুলশান-বনানি লেক, ব্রিজ জঙ্গল পার হয়ে ছেলাময়েত গ্রামে চলে যায় মোজাম্মেল। পরের দিন রেডিওতে খবর আসে মোনায়েম আততায়ীর গুলিতে নিহত। মোজাম্মেল তখন ক্লাস এইটের ছাত্র।
ছোট কাঁধে বড় দায়িত্ব
মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত এক বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধার নাম আবু সালেক। যুদ্ধকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আবু সালেক যুদ্ধে অংশ নিতে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যান আগরতলায়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করা হচ্ছিল। আবু সালেক সেখানে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম লেখাতে চাইলেন। কিন্তু ছোট বলে বাছাই করার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা তাকে নিতে চাইলেন না। তার কান্না দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা তাকে নিতে রাজি হলেন। আবু সালেক নাম লেখালেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। আগরতলা থেকে আবু সালেককে নিয়ে যাওয়া হয় মেঘালয়ে। মেঘালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। সেখানে ট্রেনিং নিয়ে হয়ে উঠলেন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে লাগলেন। একবার তারা যুদ্ধ করেছিল এক গ্রামে। গ্রামটির নাম চন্দ্রপুর। আবু সালেক সেই যুদ্ধে ছিলেন বাঙ্কারে। সে এক ভীষণ যুদ্ধ প্রচ- গোলাগুলি চলছে। পাক বাহিনী ছিল সুবিধাজনক স্থানে। একপর্যায়ে আবু সালেকদের দলের টিকে থাকা কঠিন হয়ে গেল। এতগুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ বাঁচানোই আসল চিন্তা। অকারণে প্রাণ দেয়ার সময় সেটা নয়। প্রাণ বাঁচাতে হলে পিছু হটতে হবে। কিন্তু চাইলেই পিছু হটা যায় না। শত্রুপক্ষ যদি পিছু হটার ব্যাপারটা ধরে ফেলে তাহলে আর রক্ষা থাকবে না। এর জন্য ব্যাকআপ দরকার। যুদ্ধ চলতে থাকবে পিছু হটাও হবে। কিন্তু ব্যাকআপ দেবে কে? কে এই মরণ ফাঁদে পড়ে অনবরত গুলি চালাবে? কে শত্রুর চোখে ধূলো দেবে? এগিয়ে এলেন কিশোর আবু সালেক। ছোট কাঁধে তুলে নিলেন বড় দায়িত্ব। ক্রমাগত গুলি চালাতে লাগলেন পাকবাহিনীর ক্যাম্প লক্ষ্য করে। আর এই ফাঁকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেলেন অন্যরা। আবু সালেক কিন্তু গুলি থামালেন না। এক সময় পাক আর্মিরাও পিছু হটতে লাগল। আবু সালেক বাঙ্কারে থেকে গুলি করে যেতে লাগলেন। পাক বাহিনী সরে গেলে গোলাগুলি বন্ধ হলো। সারা রাত আবু সালেক বসে রইলেন বাঙ্কারে। রাত শেষে ভোর হলো। আবু সালেকের সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধারা ভাবলেন, গোলাগুলি যখন থেমে গেছে আবু সালেক নিশ্চয়ই শহীদ হয়েছে। তারা বাঙ্কারে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক। আবু সালেক একা বসে আছেন বাঙ্কারে। বিস্ময়ের ঘোর কাটতেই খুশিতে নেচে উঠল ওদের মন। এমন অদম্য সাহসী এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে তারা হারাননি। তারা আবু সালেককে নিয়ে ক্যাম্পে ফিরে গেলেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকৃত সকল বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আমাদের অহঙ্কার। সেসময় আমরা এরকম অনেক সূর্যসন্তান পেয়েছিলাম। আর তাই রক্তসাগর পারি দিয়ে হলেও স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যটাকে হাতের মুঠোয় পেয়েছি। তাই বলতে ইচ্ছে করেÑ
‘যতদিন বাংলার আকাশে চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা রইবে,
যতদিন বাংলার মাটিতে মানুষ থাকবে,
ততদিন মাতৃভূমির স্বাধীনতা সংগ্রামের
বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি
বাঙালির মানসপটে চির অম্লান থাকবে।”
অষ্টম শ্রেণি, খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা