ভ‚তছানা ও গোল

মাহাথরি আরাফাত

0
120

গভীর রাত। চৎিকার-চঁেচামচেরি শব্দে তঁেতুলগাছরে ওপর ঘুময়িে থাকা ভ‚তছানাটার ঘুম ভঙেে যায়। চারপাশে হইহুল্লোড়। দূরে মানুষজন আনন্দধ্বনি করছ,ে গোল… গোল… গোল…। ভ‚তছানা অবাক হয়ে যায়। কী হলো হঠাৎ? লোকজন এভাবে গোল গোল বলে শোরগোল করছে কনে?

তঁেতুলগাছে ভ‚তছানা থাকে তার বাবা-মার সঙ্গ।ে বাবা-মাকে না বলইে ভ‚তছানা গাছ থকেে নমেে পড়।ে একটু দূরে মানুষরে জটলা দখেে এগয়িে যায়। বশিাল বড় একটা টভিরি সামনে মানুষ গজিগজি করছ।ে আসলে তারা ফুটবল খলো দখেছে টভিতি।ে সবার মধ্যে তুমুল উত্তজেনা বরিাজ করায় তাদরে পছেনে যে ভ‚তছানা দাঁড়য়িে আছ,ে সটো কউে খয়োল করল না।

গোল…. গোল… গোল… আকাশ-বাতাস কাঁপয়িে হইচই করে উঠল সবাই। ভ‚তছানা বলে ফলেল, এতগুলো মানুষ একটা জাম্বুরায় এভাবে লাথি মারছে কনে? সামনে থকেে একটা ছলেে পছেনে না তাকয়িইে উত্তর দলিো, এটা জাম্বুরা নয়, হি হি হ।ি এটা ফুটবল। পা দয়িে খলেতে হয়। ছলেটো হয়তো ভবেছেে কোনো পচ্চিি ছোকরা প্রশ্নটা করছে।ে ভ‚তছানা বলল, তাহলে ফুটবল নয়িে ওরা এমন ছোটাছুটি করছে কনে? ছলেটো আবার বলল, গোল করত।ে ভ‚তছানা বলল, ফুটবলটা তো গোলই। আঁকাবাঁকা না তো। ছলেটো আর পাত্তা দলিো না। খলো দখোয় মনোযোগ দয়ে।

ভ‚তছানা তঁেতুলগাছে তার বাবা-মার কাছে ফরিে গলে। তার এখন ফুটবল খলেতে ইচ্ছা করছ।ে ফুটবলকে গোল করতে ইচ্ছা করছ।ে ফুটবলকে কীভাবে গোল করব,ে তা-ই ভাবতে লাগল ভ‚তছানা। এদকিে মানুষরে গোল গোল হইচই আবার ভসেে এলো। তখন ভ‚তছানা তার মাকে বলল, আমাকে একটা ফুটবল এনে দাও। আমি গোল করব। ভ‚তছানার বায়না শুনে তার মা অবশ্য ‘না’ করনেন।ি একমাত্র আদররে সন্তান যা চায়, তা-ই দতিে চষ্টো করনে। তাই জাদুমন্ত্র পাঠ করে মুর্হূতরে মধ্যে একটা চমৎকার ফুটবল হাজরি করে ফলেনে ভ‚তছানার মা। ভ‚তছানা ফুটবল দখেে খুশি হয়ে যায়। তারপর ফুটবলটা নয়িে মাতব্বরপুর মাঠে চলে যায় খলেত।ে সঙ্গে যান তার বাবা-মাও।

খোলা মাঠে এসে ফুটবল নয়িে ছোটাছুটি শুরু করে দয়ে ভ‚তছানা। ফুটবলরে পছেনে ছুটছে তো ছুটছইে। অবরিাম ছোটাছুট।ি ভ‚তছানা একসময় তার বাবাকে বলল, ফুটবলটা গোল করে দাও। আমি গোল চাই। ভ‚তছানার বাবা না-হসেে পারনে না। তনিি বলনে, ফুটবল তো গোলই। এটাকে আর গোল করব কীভাব?ে
ভ‚তছানা সঙ্গে সঙ্গে প্রতবিাদ করে উঠল, কীভাবে গোল করতে হয় তুমি হয়তো জানো না। কছিুক্ষণ আগে শুনোনি মানুষ গোল গোল বলে চৎিকার করে উঠছলি? ভ‚তছানার কথা শুনে ভারি ঝামলোয় পড়ে গলেনে বাবা। উনার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গলে। ভ‚তছানাকে এখন কী উত্তর দবিনে তা-ই নয়িে চন্তিতি। ভ‚তছানার মা ব্যাপারটা বুঝতে পারলনে। তনিি বললনে, আমার সোনা মানকি, ফুটবলটা তো গোলই দখো যাচ্ছ।ে এটা তো আর গোল হবে না। তুমি ভালো করে দখেো, এটা গোল। অন্য কোনো আকৃতরি নয়। ভ‚তছানা মন খারাপ করা কণ্ঠে বলল, আমওি দখেছি এটা গোল। কন্তিু এই গোল দখেে কউে আনন্দে চৎিকার কর?ে ওই বাড়রি ছলেটো বলছেলি, ফুটবল নয়িে ছোটাছুটি করলে গোল হয়। আমি তো ছোটাছুটি করছ,ি তাও গোল হচ্ছে না। এজন্যই তো বাবাকে বলছেি গোল করে দতি।ে

ভ‚তছানার বাবা-মা কউেই পারলনে না ফুটবলকে গোল করে দতি,ে যে গোলরে জন্য মানুষ হইচই করছলি। তাই ভ‚তছানা মাঠে বসে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে লাগল। ভ‚তছানার কান্না দখেে তার বাবা-মাও মন খারাপ করলনে ভীষণ।
এদকিে ভ‚তছানার কান্নার খবর পয়েে আশপোশরে সব জাতরে ভ‚ত ছুটে এলো। গছেো ভ‚ত, মছেো ভ‚ত, স্কন্ধকাটা ভ‚ত, নশিি ভ‚ত, মামদো ভ‚ত, পটেমোটা ভ‚ত, রাক্ষসে ভ‚ত। এমনকি ডাইন,ি পতেন,ি শাঁকচুন্নী তারাও আসছে দলে দল।ে না এসে পার?ে এক ভ‚তরে দুঃখ-কষ্টরে সময় আরকে ভ‚তরে এগয়িে আসাই তো ভ‚তসমাজরে শক্ষিা।

তারপর ভ‚তরো মলিে ফুটবল নয়িে ছোটাছুটি শুরু করল। কউে পা দয়িে খলেছ,ে কউে হাত দয়ি,ে কউে পটে দয়ি,ে কউে মাথা দয়ি।ে যে যভোবে পারে ফুটবল নয়িে ছুটছ,ে তবুও গোল হচ্ছে না ফুটবল। একসময় ফুটবলটা গয়িে পড়ল মাঠরে পাশে ঝোপরে মধ্য।ে ঝোপরে আড়ালে ছলি অনকে লবেুগাছ। লবেুগাছরে কাঁটায় লগেে ফুটবলটা ফুটো হয়ে যায়। এতে করে ফুটবলরে ভতেররে বাতাস বরেয়িে পড়ল। একদম চুপসে গলে ফুটবলটা। চুপসে যাওয়া ফুটবলটা দখেে ভ‚তছানার খুশরি সীমা নইে। আগরে মতো নইে এখন ওটা। একদম ছোট হয়ে গছে।ে ভ‚তছানা ভাবল, এটাই হয়তো গোল। তারপর গোল গোল বলে চৎিকার করে উঠল ভ‚তছানা। ভ‚তছানার খুশি দখেে সবাই একসঙ্গে হাততালি দয়িে উঠল।