উটের আত্মকথা

মো: সা’দাদ রহমান

0
72

ছোট্ট বন্ধুরা। আমি উট বলছি। আজ তোমাদের শোনাবো আমার জবানিতে উট জাতির আত্মকথা। বলার আছে অনেক কিছু। তবে আমার আত্মকথার সবটুকু আজ শোনাতে পারবো ন্।া সময় ও সুযোগের অভাব। শোনাবো শুধূ আমাদের দেহগঠন বিষয়ে সামান্য বিজ্ঞানময় কিছু কথা। যতই শুনবে, ততই অবাক হবে। জেনে অবাক হবে, মহান সৃষ্টিকর্তা কত বিজ্ঞানময় করে গঠন করেছেন আমার দেহখানি। আর কত অবাক বিস্ময় লুকিয়ে আছে আমার এই দেহগঠনে। আমার ডিজাইনার মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের ৮৮ নম্বর সুরাহ গাশিয়ার ১৭ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে তাই হয়তো অবিশ্বাসীদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখেছেন : ‘তবে কি উহারা দৃষ্টিপাত করে না উটের দিকে, কিভাবে উহাকে সৃষ্টি করা হয়েছে?’।

সে যা-ই হোক, তোমরা আমাদের চেনো ‘মরুভৃমির জাহাজ’ নামে। কারণ, আমরা তপ্ত বালুময় মরুভূমির উষ্ণ আবহাওয়ায় যেমনি যাত্রী পরিবহন করি, তেমনি মালামালও পরিবহন করি। আমি এক সাখে ২০০ কেজির মতো বোঝা বহন করতে পারি। এই পরিমণ বোঝা নিয়ে মরুভূমিতে পাড়ি দিতে পারি শত শত মাইল।

তোমরা হয়তো জানো, পায়ে হেটে আমি সাত আটদিনে শত শত মাইল পাড়ি দিতে পারি। এই সময় পানি বা খাবারের জন্য আমাকে কোথাও থামতে হয় না। অবশ্য তখন আমার শরীর কিছুটা হালকা-পতলা হয়ে যায়। তখন বাইরে থেকে আমার দেহের হাড়গুলো পর্যন্ত দেখা যায়। চামড়া যেনো হাড়ের সাথে মিশে যায়। তখন আমার ওজন ১০০ কেজির মতো কমে যায়। তবুও আমার খারাপ লাগে না, চলতেও কোনো অসবিধাও হয় না। চলতে পারি স্বাভাবিকভাবে। না খেয়ে একটানা দীর্ঘপথ চলার সময় আমার দেহখানা কিছুটা পাতলা হয়ে য়াওয়ার কারণ, তখন আমার শতকোটি দেহকোষে পানির পরিমাণ কমে যায়। তেমনি শরীরে থাকে না পর্যাপ্ত ফ্যাট বা চর্বি।

আমাদের শরীরের ৯৪ শতাংশই পানি, যে পরিমাণে থাকে মানুষের শরীরেও। কিন্তু আমরা যখন কোনো খাবার পানি পাই না, তখন সূর্য ধীরে ধীরে আমার রক্ত থেকে যে পানি বের করে নেয়. তা আর পূরণ হয় না। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, আমাদের রক্ত থেকে ৪০ শতাংশ পানি হারিয়ে গেলেও আমরা সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকতে পারি। চলাফেরা করতে পারি। চিকিৎসকেরা বলেন, মানুষের রক্তেও ৯৪ শতাংশের কাছাকাছি পরিমাণ পানি থাকতে হয়। কিন্তু, মানুষের রক্তে এ থেকে ৫ শতাংশ পানি কমে গেইে বিপদ। মানুষ অন্ধ হয়ে যায়, চোখে দেখতে পায় না। আর ১০ শতাংশ পানি কমে গেলে কানে শুনতে পায় না; জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আর ১২ শতাংশ পানি হারালে মহাবিপদ। মানুষের রক্ত হয়ে যায় গুড়ের মতো ঘন। তখন মানুষের হার্ট এই ঘন রক্ত পাম্প করতে পারে না। তখন মানুষ নির্ঘাত মারা যায়।
আর আরেকটি কথা। বিজ্ঞানীরা বলেন, আমাদের রক্ত নাকি একটু অলাদা ধরনের। আমাদের লাল রক্তকোষ অনেকটা লম্বা আকারের। আর মানুষের রক্তকোষ গোলাকার। হতে পারে এ কারণেই মানুষের রক্ত থেকে আমাদের রক্তের কার্যকারিতা অনেক বেশি। হয়তো আল্লাহ আমাদের রক্তের ডিজাইন করেছেন মরুভূমির উপযোগী করে। নয়তো মরুভূমিকে করে দিয়েছেন আমাদের উপযোগী করে। নিশ্চয় এর উত্তম এক ডিজাইনার রয়েছেন। আর এ ডিজাইনার হচ্ছেন মহান আল্লাহ। ডিজাইনার ছাড়া কি কখনো কোনো ডিজাইন হতে পারে?

আমি যখন ক্ষুধার্ত হই,তখন আজেবাজে অনেক কিছইু খাই। ছেঁড়াফাড়া চামড়া, পুরনো দড়িদাড়া, আমার মালিকের তাবুর কিয়দংশ, এমনি কি সুযোগ ফেলে জুতা পর্যন্ত তখন খেয়ে ফেলি। আমার সৃষ্টিকর্তা আমাকে এমন একটি মুখ দিয়েছেন, যা দিয়ে কাটাওয়ালা ফণিমনসা পর্যন্ত অনায়াসে খেয়ে সাবাড় করতে পারি। এই ফণিমনসা গাছ মরুভূমিতেও জন্মে। আমি মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে জন্মানো ঘাস ও অন্যান্য গাছগাছড়াও খেতে পারি। সুযোগ ফেলে খেয়েও থাকি।

তোমরা লক্ষ করে থাকবে আমােেদর পিঠে রয়েছে একটি বা দুটি কুঁজো। এর একটির ওজন ২০-২৫ কেজি হতে পারে। অনেকে মনে করেন, আমরা কুঁজোতে জমা করে রাখি সাতদিনের খাবারের পানি। এটি ঠিক নয়। আসলে এটি ভর্তি থাকে ফ্যাট বা চর্বি। আর এই চর্বিই হচ্ছে আমার দেহের জ্বালানি। সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা এটি আমাকে দিয়েছেন এ জন্যে যে, মরুভূমিতে চলার সময় আমি সব সময় খাবার পাই না। আমাকে চলাচল করতে হয় মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর ওপর দিয়ে। যখন আমি কোনো খাবার পাই না, তখন আমার দেহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কুঁজো থেকে চর্বি বের করে আনে। আর তাই খাবার জোগায় আমার দেহের। আমার দেহ রাখে শক্ত-সুঠাম। কুঁজো হচ্ছে আমাদের জরুরি সময়ের খাবার সরবরাাহ ব্যবস্থা। আমরা যদি কোনো গাছগাছালি খেতে না পাই, তখন আমরা আমাদের কুঁজোকে কাজে লাগাই। তখন এই কুঁজো ছোট হয়ে আসে, আর একপাশে কাত হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি চলতে পথে কখনো কখনো মরুদ্যান পেয়ে যাই। নাগালে পেলে সেখানে গাছগাছালি খাই। তখন ওই কুঁজো আবার আগের স্বাভাবিক আকারে ফিরে আসে। আমি দশ মিনিটে ২৭ গ্যালন পানি খেতে পারি।

আমার মাস্টার ডিজাইনার আমাকে বিস্ময়করভাবে বানিয়েছেন মরুভূমির আবহাওয়ার উপযোগী করে। আমার খাওয়া পানি কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমার দেহের কোটি কোটি অণুবীক্ষণিক কোষে চলে যায়, যা আমার দেহে গোশত বাড়িয়ে তোলে। সাধারণত একবারে আমি ২০ গ্যালনের মতো পানি খাই। আমি যে পানিটা গিলে খাই, তা প্রথমেই যায় আমার পাকস্থলীতে। ্আমার ক্ষুধার্ত রক্তকোষগুলো এ পানি শুষে নিয়ে তা পৌঁছে দেয় শরীরের সব অংশে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, আমি পানি খাওয়ার ১০ মিনিট পর সে পানি আর পাকস্থলীতে থাকে না।

মরুভূমিতে চলার সময় কোথাও কোনো পানি পেলে ১০ মিনিট পানি খেয়ে নিই। তখন আমার হালকাপাতলা দেহ সাথে সাথেই বদলে যেতে শুরু করে। স্বল্প সময়েই আমার হালকা-পাতলা অবস্থা বদলে যায়। আমি নাদুস-নুদুশ হয়ে উঠি। তখন কেউ আর আমাকে চামড়াসার বা হাড্ডিসার বলতে পারে না। কেননা, তখন আবার আমার ইতোপূর্বের হারানো শত কেজি ওজন ফিরে পাই। যদিও মরুভূমিতে চলার সময় প্রচুর পানি আমার শরীর থেকে চলে গেলেও পানি খাওয়ার পর এই ওজন ফিরে পেতে কোনো অসুবিধা হয় না।

এটা ঠিকÑ আমার দেহ কিছু পানি সংরক্ষণও করে। সৃষ্টিকর্তা আমার দেহে সে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি আমাকে দিয়েছেন বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি নাক। এই নাক পানি সাশ্রয় করতে পারে। যখন আমি শ্বাস ছাড়ি, তখন সবটুকু আমি ছেড়ে দিই না। আমার ছাড়া নিঃশ্বাসের কিছুটা ধরে রাখে আমার নাক। আমার ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা উষ্ণ ভেজা বায়ু এই নাক আটকে দেয়। আর আমার নাকে থাকা পর্দা তা শুষে নেয়। এই পাতলা পর্দায় আছে ছোট ছোট রক্তকোষ। নাক দিয়ে আটকানো পানি এই রক্তকোষগুলো আবার ফেরত পাঠায় আমার দেহের রক্তের মাঝে। কী অবাক করা এক পুনর্চক্রায়ন বা রিসাইক্লিং সিস্টেম। আমার বিশেষ ধরনের ঠা-া নাক এমনটি সম্ভব করে তোলে। এই বিশেষ ধরনের ঠা-া নাক ছাড়া ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা গরম বায়ুকে আবার পানিতে রূপান্তর আমার পক্ষে সম্ভব হতো না।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কী করে আমার নাক মরুভূমির গরম আবহাওয়ায়ও ঠা-া থাকে? আমি তো শ্বাস-প্রশ্বাস নিই মরুভূমির গরম বায়ুর মাঝে। এই গরম বায়ু আমার ভেজা নাকের ছিদ্রপথে দেহে প্রবেশ করে। এর ফলে ঠা-া হওয়ার একটা প্রভাব সৃষ্টি করে। যে কারণে আমার নাকের তাপমাত্রা দেহের তাপমাত্রা থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকে।

আমি পছন্দ করি মরুভূমির বালির ঢিবি বা বালিয়াড়ির ওপর দিয়ে চলতে। এই বালিয়াড়ির ওপর দিয়ে চলাচল আমার জন্য এক সহজ কাজ। কারণ, সৃষ্টিকর্তা আমাদের পায়ে পরিয়ে দিয়েছেন বিশেষ ধরনের বালু-জুতা বা স্যান্ড-শু, যা বালুময় পথে আমাদের সহজে চলতে সহায়তা করে। না না, এ জুতা তোমরা মানষদের পরা জুতা নয়। আসলে আমদের পায়ের খুরগুলোই যেন কাজ করে তোমাদের জুতার মতো। সেটাইকেই আমরা উটেরা বলছি বালু-জুতা।
আমাদের খুরগুলো খুব চওড়া। এবং এগুলো আরো বেশি চওড়া আকার ধারণ করে, যখন আমরা মরুপথে পা ফেলি। আমাদের প্রতিটি পায়ে রয়েছে দুটি লম্বা অস্থিসার আঙুল। আঙুলের ওপর রয়েছে ভারী চামড়া। আমাদের ্আ্ঙুল দুটি অনেকটা জলচর প্রাণীর পায়ের মত্ োপাতলা সংযোজক চামড়া দিয়ে জুড়ে থাকার মতেই। এর ফলে বালুতে আমার পা ডুবে যায় না। তাই কখনো কখনো আমি আমার মালিকের ইচ্ছায় একদিনে একশ মাইল পথ পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারি। সাধারণত আমি ঘণ্টায় ১০ মাইল বেগে চলি।
আমরা যখন মরুপথে চলি তখন কখনো কখনো হঠাৎ করে আসা মরুঝড়ে পড়ি। মরুঝড়ের সময় বাতাসে ওড়ে চলে শুধু বালি আর বালি। এই মরুঝড়ে আমাদের কষ্ট কমানোর জন্য সৃষ্টিকর্তা আমার নাসারন্ধ্রে জুড়ে দিয়েছেন বিশেষ ধরনের মাংসপেশী। এই মাংসপেশী নাসারন্ধ্র এমন ভাবে বন্ধ করে রাখে, যার ফলে নাক দিয়ে মরুঝড়ের সময় উড়ে আসা বালু ঢুকতে পারে না। তবে এ সময় বন্ধ হয় না আমার নাক দিয়ে পর্যাপ্ত বায়ুগ্রহণ। স্বাভাবিকভাবেই চলে শ্বাস-প্রশ্বাস। কি চমৎকার এই ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের নাকে। বিষয়টি অবাক করার মতো নয় কি!
লক্ষ করো, আমার চোখের পাতার দিকে। দেখবে আমার চোখের পাতার লোমগুলো নিচ দিকে ঝুলে আছে। এগুলা কাজ করে আমার চোখের একটি পর্দা হিসেবে। এর ফলে বালু চোখে ঢুকতে পারে না। একইভাবে সূর্যের আলোও সরাসরি পড়ে না চোখের ওপর। এর পরেও আমি সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পাই।
যদি কখনো বালুর একটি কণা আমার চোখে ঢুকে পড়ে, সৃষ্টিকর্তা এ ব্যাপারেও সজাগ। তিনি আমাকে ভেতরের দিকে একটি চোখের পাতা দিয়েছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিজে ওঠে চোখের পুত্তুলি থেকে এই বালু বের করে নিয়ে আসে। ঠিক যেভাবে একটি গাড়ির উইন্ডশিল্ড উইপার কাজ করে।

কিছু মানুষ মনে করে আমরা উঠেরা অতি মাত্রায় আত্মগর্বে গর্বিত। নিজের সম্পর্কে অত্যধিক উচ্চ ধারণা পোষণ করি। কারণ, আমরা সব সময় মাথা উঁচু রেখে চলাফেরা করি। নাকটাকেও ভাসিয়ে দিই বায়ুতে। না গর্ববোধ থেকে আমরা তা করি না। এমনটি করি, কারণ দেহের গঠনটাই আমাদের এভাবে চলতে বাধ্য করে। আমাদের চোখের ভ্রুগুলো ভারী ও লোমযুক্ত। এ জন্য মাথা উঁচু করে চলতে হয়। তবে এগুলো থাকায় আমরা খুশি। এগুলো আমাদের চোখে ছায়া দেয়। সূর্যের প্রখর আলো থেকে আমাদের চোখকে বাঁচায়।

মরুভূমির লোকদের আমরা অনেক উপকার করি। আমরা শুধু তাদের সর্বেত্তম পরিবহনই নই। আমরা তাদের মুদিদোকানও। মাদি উঠ থেকে মানুষ পায় খুবই সমৃদ্ধ দুধ। এরা এই দুধ দিয়ে পণির ও মাখন তৈরি করে। আরো কিছু দুগ্ধজাত মজার মজার খাবার। আমাদের দেহ থেকে ভারী লোম বছরে একবার খসানো হয়। এই লোম দিয়ে কাপড় বোনা হয়। কিছু কম বয়েসী উট জবাই করে গোশত পাওয়া যায়। এগুলো খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়।

শুরুতেই বলেছি আমাদের মরুভূমির জাহাজ বলা হয়। এর একটি কারণ, মরুভূমিতে আমরা যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করি। আরেকটি কারণ হচ্ছে, আমরা যখন দুলকি তালে মাঝারি গতিতে চলি, তখন এপাশ-ওপাাশে দোলনার মতো দোলি। তখন সওয়ারিদের অনেকেই সি-সিক হয়ে পড়ে। জাহাজে চড়লে ঢেউয়ের কারণে জাহাজ হেলেদুলে চলার সময় অনেকের মধ্যে এক ধরনের বমি বমি ভাব হয়। এরই নাম সি-সিক হয়ে পড়া। তোমরা বাংলায় এর নাম দিতে পার সমুদ্র-রোগ। দুলকি তালে চলার সময় আমরা য়েভাবে পা ফেলে চলি, সে কারণে আমাদের এই হেলেদুলে চলা। আমার এক পাশের ঊভয় পা এক সাথে সামনে চলে। যে পাশের পাগুলো উপরে তুলে সামনের দিকে নিই সে পাশটি উপরের দিকে ওঠে। এভাবে বাম পাশের উভয় পা একবার সামনে নেয়া এবং এর পর ডানপাশের উভয় পা সামনে নিয়ে বাম-ডান বাম-ডান করে চলার কারণে আমার সওয়ারির কাছে মনে হয়, তিনি যেন একটি রকিং-চেয়ার বা দোলন-চেয়ারে বসে আছেন। যা এপাশ-ওপাশ দোল খাচ্ছে।

আমাদের বয়স যখন ৬ মাস হয়, তখন আমাদের সামনের পায়ে আঘাত নিরোধ ও আরামের জন্য এক ধরনের প্যাড সৃষ্টি হতে শুরু করে। আমাদের অসমান্তরাল বুদ্ধিমান সৃষ্টিকর্তা ভালো করেই জানেন, আমাদের এ ধরনের প্যাডের খুবই প্রয়োজন। এর ওপর ভর করে হাটু গেড়ে আমরা ভারি মালামাল সহজে মাটিতে নামাতে পারি। যদি এই প্যাড না থাকত, তখন হাটু গাড়ার সময় আমরা হাটুতে ব্যথা পেতাম। তখন আমরা সহজে শুতেও পারতাম না।

আজ এ পর্যন্তই। সুযোগ পেলে আবারো তোমাদের শোনবো আমাদের না বলা কিছু আত্মকথা।