নীল সবুজের গল্প

আবরার হক

0
42

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি, তোমরা সবাই অন্নেক ভালো আছো। দেখতে না দেখতেই ২০১৯ শেষ হয়ে ২০২০ চলে এলো। কেমন যেন খুব তাড়াতাড়িই বছরটা শেষ হয়ে গেল, তাই না? নতুন বছরের সুন্দর একটি পরিকল্পনা করেছ তো? এই বছরে নতুন কিছু শিখতে চাইলে, করতে চাইলে তার জন্য সুন্দর করে একটা পরিকল্পনা করে ফেলো। আব্বু-আম্মুর সাথে কথা বলে কোথায়ও ঘুরতে যেতে চাইলে তার পরিকল্পনাটাও করে নিতে পারো।

গত সংখ্যায় আমরা মানুষের ধারণার চাইতেও অনেক বিশ-শা-ল এবং ক্রমবর্ধমান মহাবিশ্ব নিয়ে কিছু জানার চেষ্টা করেছিলাম। তোমরা তো বুঝতেই পেরেছ, এই বিশাল সৃষ্টিজগতে আমাদের এই পৃথিবী আসলে অতিক্ষুদ্র একটি বিন্দু। কিন্তু যত ছোটই হোক, এই পৃথিবীই তো আমাদের বাসস্থান। তারচেয়েও বড় কথা এই ছোট্ট পৃথিবীর বৈচিত্র্যও কিন্তু যে কাউকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়। আমরা এইবারে আমাদের এই অনিন্দ্যসুন্দর পৃথিবী সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করবো।

ছোটবেলা থেকে আমাদের মনে একটা প্রশ্ন বেশ ঘোরাঘুরি করতো। আচ্ছা, এই যে আমাদের পায়ের নিচে মাটি, এই মাটি ভেদ করে পৃথিবীর অপরপ্রান্তে ওঠা যাবে? কত দিন লাগবে এভাবে ভেদ করে যেতে? আর গেলে কিইবা পাওয়া যাবে? এই প্রশ্ন আসলে বিজ্ঞানীদের মনেও জন্মেছিল বেশ আগে থেকেই। ১৯৭০ সালের ২৪ মে সোভিয়েত বিজ্ঞানীদের একদল যন্ত্রপাতি নিয়ে নেমে পড়লেন গর্ত করার কাজে। বিভিন্ন পর্যায়ে খনন কার্য করে তারা ১৯৯২ সালে কাজ থামাতে বাধ্য হন। কারণ খননকৃত শেষবিন্দুতে তাপমাত্রা তাদের ধারণাকৃত ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ততক্ষণে অবশ্য তারা পৌঁছে গেছেন ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০,২৩০ ফুট বা ১২.২৬ কিলোমিটার গভীরে। রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের কোলা সুপারডিপ বোরহোল নামের এই গর্তটিই এখন পর্যন্ত মানুষের খোঁড়া দীর্ঘতম গর্ত। কিন্তু এটা পৃথিবীর সেন্টারের ধারেকাছেও না। পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত গভীরতা প্রায় ৬,৩৬০ কিমি। এ পুরুত্বটা মোটাদাগে তিনটি স্তরে বিভক্ত। এর বাইরের স্তর, যেটা ক্রাস্ট নামে পরিচিত, ৩৫-৪০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এরপরের অংশ মেন্টাল, এটি এর পর থেকে ২,৮৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যাপ্ত। এর পর থেকে সেন্টার পর্যন্ত বাকি অংশটাকে বলা হয় কোর। এই ভেতরের অংশের তাপমাত্রা সূর্যের মতোই গরম, প্রায় ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সুতরাং বুঝতেই পারছো, অন্তত নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবীর কেন্দ্র ভেদ করে অপর প্রান্তে যাওয়ার ইচ্ছা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আচ্ছা ওয়েট, যদি সম্ভব হতো, তাহলে কেমন সময় লাগতো একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে? এক্ষেত্রেও প্রায় ৪২ মিনিট ১২ সেকেন্ড সময় লাগতো বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। তোমাদের একটা সাইটের সন্ধান দেই। িি.িধহঃরঢ়ড়ফবংসধঢ়.পড়স সাইটে ঢুকে তুমি তোমার লোকেশন লিখলে তারা তোমাকে দেখিয়ে দেবে নিচের দিকে সোজা খুঁড়ে অপর পাশ দিয়ে বের হলে ঠিক কোথায় গিয়ে তুমি উঠবে। অন্য পাশের ওই জায়গাটিকে প্রতিপাদ স্থান বলা হয়। খুঁড়ে উঠতে না পারলেও এমনি দেখে তো নিতেই পারো তোমার বাসার নিচে পৃথিবীর ঠিক ওই পাশে কী আছে!

এই যে আমাদের নিচে পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের কথা বলছি, তার উপরিভাগ, যেটার ওপর আমরা বসবাস করি, সেটা বেশ কিছু প্লেটে বিভক্ত। এগুলোকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। এই টেকটোনিক প্লেটের কথা হয়তো তোমরা শুনে থাকবে। প্রায় ৫১০,১০০,০০০ বর্গকিমির পৃথিবীর সম্পূর্ণ উপরিভাগ এরকম ৭টি বড় (যেগুলোর আয়তন ২০ মিলিয়ন বর্গকিমির বেশি), ১৫-১৬টি মাঝারী (আয়তন ০১-২০ মিলিয়ন বর্গকিমি) এবং অনেকগুলো ছোট (০১ মিলিয়ন বর্গকিমির কম আয়তনের) অংশ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান প্লেটে অবস্থিত। এই টেকটোনিক প্লেটগুলো যখন একটি অপরটির সাথে কোনো কারণে ধাক্কা খায়, তখন ওই ধাক্কা খাওয়া প্লেটগুলোর উপরিভাগ কেঁপে ওঠে, যাকে আমরা ভূমিকম্প নামে চিনি। আর জানোই তো, ভূমিকম্প এমন এক দুর্যোগ, ঘটার পূর্বে সিগন্যাল দিতে পারার মতো কোনো যন্ত্র এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। ভূমিকম্পের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তনসহ প্রকৃতিতে উল্লেখযোগ্য অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়।

ভূমিকম্পের বিভিন্ন প্রভাবের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো আগ্নেয়গিরি। টেকটোনিক প্লেটগুলোর একটির সাথে আরেকটির সংঘর্ষে ভেতরের ফুটন্ত তরল পদার্থগুলো ভূগর্ভ থেকে ওপরে উঠে আসলে তখন আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। ফুটন্ত তরলগুলো, যেগুলোকে লাভা বলা হয়, বাইরে আসলে আস্তে আস্তে ঠা-া হয়ে শক্ত হয়ে যায়। তখন ধীরে ধীরে তা পাহাড়ের মতো উঁচু হতে থাকে। এই লাভায় যে কারো মৃত্যু অনিবার্য। কারণ সবচেয়ে কম উষ্ণ লাভাও ৬৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি গরম হয়ে থাকে। কোনো জায়গায় আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হলে তার আশেপাশে বহু দূর পর্যন্ত জনবসতি তো বটেই, কোনো প্রাণের অস্তিত্বই থাকে না।

ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই জানি, সাত মহাদেশ আর পাঁচ মহাসাগর নিয়ে আমাদের এই পৃথিবী। তবে পৃথিবীর সবাই কিন্তু এভাবে জানে না। এই যেমন আমরা ৫টি মহাসাগরের কথা পড়ি। অথচ অন্য আরেক হিসেবে মহাসাগর ৩টি। তাদের হিসেবে আর্কটিক বা উত্তর মহাসাগর আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে। আর অ্যান্টার্কটিক বা দক্ষিণ মহাসাগর প্রশান্ত, আটলাটিক আর ভারত মহাসাগর এই তিনের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।

এরপর চলি মহাদেশের ব্যাপারে। এক্ষেত্রে তো মতের ভিন্নতা আরো বেশি। চার, পাঁচ, ছয় আর সাত, মহাদেশের সংখ্যা নিয়ে এই সবগুলো মতো প্রচলিত। এর মধ্যে ৫ মহাদেশ তত্ত্বের আবার ৩ রূপ, ৬ মহাদেশ তত্ত্বের আছে ২ রূপ। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া আর অ্যান্টার্কটিকা, এই সাতটি নাম তো জানাই আছে তোমাদের। বাকিদের থেকে ভূখ- আলাদা থাকায় শুধু অস্ট্রেলিয়াকে সবাই একক মহাদেশ হিসেবে একবাক্যে মেনে নিয়েছে। বাকি সব মহাদেশ এক্ষেত্রে কিছুটা বিপাকেই আছে বলা যায়। চার মহাদেশ মতের লোকেরা এশিয়া, ইউরোপ আর আফ্রিকাকে একত্রে নাম দিয়েছে আফ্রো-ইউরেশিয়া। আর আমেরিকাকে একটি মহাদেশ হিসেব করে। সাথে অ্যান্টার্কটিকা তো আছেই। পাঁচ মহাদেশের পক্ষে তিনটি মত আছে। একদল আফ্রো-ইউরেশিয়ার মধ্যে আফ্রিকাকে আলাদা মহাদেশ হিসেবে বলে। দ্বিতীয় গ্রুপটি মানববসতি না থাকায় অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকেই মহাদেশ গণ্য করে না, এশিয়া, আফ্রিকা আর ইউরোপকে আলাদা মহাদেশ মনে করে, তবে আমেরিকাকে এক বলেই গণ্য করে।
তৃতীয় গ্রুপ আফ্রো-ইউরেশিয়াকে এক মনে করে, কিন্তু আমেরিকাকে উত্তর আর দক্ষিণ দুই মহাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ছয় মহাদেশ মতাবলম্বীরা ইউরোপ আর এশিয়াকে এক করে ইউরেশিয়া বলে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ওপরের বিভিন্ন মত প্রচলিত। তবে আমাদের মতো ৭ মহাদেশের কথাই বেশিরভাগ জায়গায় প্রচলিত। অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে জানো তো নিশ্চয়ই। বাহারি রকমের শারীরিক কসরত আর দক্ষতা প্রদর্শনের মেলাই যেন বসে চার বছর পর পর। এই অলিম্পিক গেমসের লোগোতে পাঁচটি পরস্পর সংযুক্ত বৃত্ত দেখে কখনো এর অর্থ জানতে ইচ্ছে হয়নি? এ বৃত্তগুলো আসলে পৃথিবীর ৫টি মহাদেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ অলিম্পিক কমিটি ৫ মহাদেশ তত্ত্বের দ্বিতীয়টির অনুসারী।

তোমাদের কারো কারো মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, ওশেনিয়ার ব্যাপারে। মহাদেশ না হলে এটা কি আসলে? ওশেনিয়া শব্দটিও বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কিছু বুঝায়। সর্বাধিক প্রচলিত মত হচ্ছে, ওশেনিয়া হলো প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অঞ্চল, যাতে ছোট বড়ো অনেকগুলো দ্বীপ আছে। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশও এর অন্তর্ভুক্ত। কোথাও কোথাও অবশ্য ওশেনিয়া মহাদেশ হিসেবেও পরিচিত। আরেকটি তথ্য, বর্তমানে একদল বিজ্ঞানীর মতে জিল্যান্ডিয়া নামে আরেকটি মহাদেশ আছে, যা এখনো সমুদ্রের নিচে। বর্তমান সময়ের নিউজিল্যান্ড ওই ভূমিরই উচ্চতম অংশ।

মহাদেশ বা কন্টিনেন্ট তো বুঝলে। সুপারকন্টিনেন্ট বা অতি-মহাদেশ কথাটা শুনেছ? না শুনলে আজ শোন। অনেকেরই ধারণা, প্যানজিয়া ছিল অতি মহাদেশ। পৃথিবীর সাতটি মহাদেশই তখন সংযুক্ত ছিল। এগুলো অবশ্য এখন থেকে ১৭৫ মিলিয়ন বছর আগের কথা। টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ধীরে ধীরে মহাদেশগুলো বর্তমানের অবস্থানে এসেছে।

আমাদের অনেকের আত্মীয়স্বজনই দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে। তাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আমরা জানতে পারি, ওই দেশের সময়ের সাথে আমদের দেশের সময়ের বেশ একটা ফারাক থাকে। এই যেমন সৌদি আরবের চেয়ে আমাদের সময় ৩ ঘণ্টা এগিয়ে থাকে। আবার জাপানের সময় আমাদের চেয়ে ৩ ঘণ্টা এগিয়ে। তোমাদের অনেকের নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা হয়েছে, কেন এমন হয়? কেন পুরো পৃথিবীতে একই সময় হয় না?

প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে তার নিজ মেরুরেখার ওপর আবর্তিত হচ্ছে। ফলে পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলোতে আগে সূর্যোদয় হয়। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে যখন সূর্য ঠিক মাথার ওপর আসে তখন এ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং ওই স্থানের ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়। এ ব্যাপারে আরো ভালো করে জানার আগে তোমাকে অক্ষাংশ আর দ্রাঘিমাংশ সম্পর্কে জানতে হবে। পৃথিবীর মানচিত্র তো দেখছে। এটাকে একটা আস্ত গ্রাফ পেপার মনে করো। এটার ওপর নিচে অবস্থান বুঝার জন্য অক্ষাংশ আর পাশাপাশি অবস্থান বুঝার জন্য দ্রাঘিমাংশ। অক্ষাংশ আর দ্রাঘিমাংশের স্থানাঙ্ক জানা থাকলে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অবস্থান সহজেই নিখুঁতভাবে জানা যায়। আমাদের কাজ মূলত দ্রাঘিমার সাথে। ইংল্যান্ডের গ্রিনউইচ রয়েল অবজারভেটরির (যেটা গ্রিনউইচ মানমন্দির নামেও পরিচিত) ওপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণ পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা কল্পনা করা হয়। এই জায়গাতে ধরা হয় ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা। এখান থেকে পূর্ব দিকে ১৮০ ডিগ্রি আর পশ্চিম দিকে ১৮০ ডিগ্রি করে মোট ৩৬০ ডিগ্রিতে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়। একেক ডিগ্রির দুরত্ব হয় প্রায় ১১১ কিলোমিটার। আর ডিগ্রিপ্রতি সময়ের পার্থক্য হতে থাকে ৪ মিনিট করে। যেহেতু এত ছোট হিসেব করে সময় হিসেব রাখতে সমস্যা হবে, তাই প্রতি ১৫ ডিগ্রি দূরত্বে ১ ঘণ্টা করে পার্থক্য হিসেব করা হয়। এগুলোকে একেকটা টাইম জোন বলা হয়। ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমার সময়কে ইউনিভার্সাল টাইম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, যা টঞঈ লিখে প্রকাশ করা হয়। এই যেমন বাংলাদেশের অবস্থান ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমার দুই পাশে বিস্তৃত। তাই আমাদের দেশে সময় ইউনিভার্সাল টাইমের চেয়ে ৯০/১৫= ৬ ঘন্টা বেশি (টঞঈ+৬)। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অবস্থানাঙ্ক মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বে হলে ইউনিভার্সাল সময়ের সাথে সময় যোগ আর পশ্চিমে হলে সময় বিয়োগ করতে হবে। আয়তনে বড় হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অনেক দেশ একাধিক টাইম জোনে বিস্তৃত। এই যেমন পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ রাশিয়া ১১টি টাইম জোনে বিভক্ত। অন্য দিকে আমাদের প্রতিবেশী ভারত বা চীন একাধিক টাইম জোনে হলেও তারা অফিসিয়ালি একটি টাইম জোনই ব্যবহার করে। পৃথিবী যেহেতু গোল, তাই পূর্ব-পশ্চিম দুই দিকে গিয়ে এই দ্রাঘিমা রেখা এক জায়গায় তো মিলিত হয়ই। ঐ জায়গাটিকে বলা হয় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। এই রেখাটি আন্তর্জাতিক পরিভ্রমণে দিন-তারিখের হিসেবে ব্যালান্স রাখার জন্য কাজ করে।

এবারের লেখায় আমরা ভূগোলের কিছু বিষয় সম্পর্কে জানলাম, যেগুলো ভবিষ্যতে তোমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবে। আজ তাহলে এখানেই শেষ করি। ভালো থেকো, ভালো রেখো।